Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শোভনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন।।

+100%-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের উদ্যোগে জেলা সদর হাসপাতালে দুইটি করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

এই সব বুথ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন হাসপাতালের রোগী ও দর্শনার্থীরা। বুথে আছে ব্যবহৃত মাস্ক ফেলার জায়গাও। বুথগুলো ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকবে।

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (জেলা সদর) হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বুথ উদ্বোধন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান, স্বাচিপ নেতা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড. মাসুম বিল্লাল, সাবেক সহ-সভাপতি রিফাত রহমান শরিফ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খাইরুলসহ সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ও জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বুথ উদ্বোধনকালে ভিপি হাসান সারোয়ার ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। করোনা প্রতিরোধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও প্রিয়নেতা র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এমপির সার্বিক সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগও অতন্ত্র প্রহরীর মতো কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের করোনা প্রতিরোধ বুথ স্থাপনের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ মুঠোফোনে জানান, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও বরাবরই বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ নিয়োজিত রয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও আমার যৌথ উদ্যোগে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্বেচ্ছায় অক্সিজেন সেবা দিচ্ছে। স্বেচ্ছায় রক্তদানের কাজটিও করছি।

গত বছর সারাদেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ছাত্রলীগ করোনা প্রতিরোধ ও করোনায় অসহায় কর্মহীন মানুষকে সহায়তায় কাজ করে আসছে। করোনা বুথ স্থাপনও আমাদের আরেকটি সেবামূলক কর্মকাণ্ড। জেলা সদর হাসপাতালে দুইটি বুথ স্থাপন করা হলো। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও আরও ৯টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক শেষ হয়ে গেলে সেগুলোতে নতুন করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেয়া হবে। দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই ছাত্রলীগের ঐতিহ্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, সত্যি ছাত্রলীগের এই উদ্যোগটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। শাহাদাৎ হোসেন শোভন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারপরও শোভনের সাংগঠনিক কাজ চলছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের দুঃসময়ে ছাত্রলীগের স্বেচ্ছায় সেবামূলক কর্মকাণ্ড গুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য বিভাগ মনে রাখবে। এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসলে হয়তো একদিন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হবো।






Shares