ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে আইজিপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের চালানো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ । বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা শহরের রেল স্টেশন, পৌরসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ভূমি অফিস সদর, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনসহ বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন তিনি। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এসে আহত প্রেসক্লাব সভাপতিসহ অন্যান্য আহত সাংবাদিকদের খোঁজ খবর নেন ড. বেনজীর। এ সময় তার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুপুরের পর তিনি সার্কিট হাউজে প্রেস ব্রিফিং করবেন।
এর আগে শুক্র (২৬ মার্চ), শনি ও রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজত ও মাদরাসাছাত্ররা। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, স্থাপনা। তাদের প্রতিহত করতে মাঠে ছিল পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ তিনদিনে গুলিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে হেফাজতের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় কিছু সাধারণ জনগণ।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুইদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সফরের বিরোধিতা করে বেশ কিছুদিন ধরে আলাদাভাবে বিবৃতি ও আন্দোলন করে আসছিল বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ এবং হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার জুমা নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মোদীবিরোধী মিছিল বের করার চেষ্টা করলে এ আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। যা পরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে হবিগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় কিছু হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।