ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিদ্যুৎস্পর্শে আয়াসহ মহিলা মাদ্রাসার ৭ শিক্ষার্থী আহত
[Web-Dorado_Zoom]
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মাদ্রাসার ৭ জন শিক্ষার্থী ও একজন আয়া অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থ আটজনের মধ্যে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টায় পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় অবস্থিত দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের এলাকার কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১১), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (২২)।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার পক্ষের ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসার চারতলা থেকে বাইরে একটি কাপড় পড়েছিল বিদ্যুতের তারের উপর। সেখানে দায়িত্বরত আয়া আলেয়া সেই কাপড় জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ দিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। লম্বা পাইপটি কাপড়ে লাগার সাথে সাথেই বিদ্যুতের তারে শক লেগে মহিলার গায়ে লাগে। আর তা রুমের ভেতরে থাকা ছাত্রীদের গায়েও লাগে। আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সবাই ভালো আছে। ভবিষ্যতে যেন কোন মেয়েদের বড় সমস্যা না হয় সেই চিন্তা থেকে আমরা ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুইজনকেও বলেছি ঢাকা নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে তাদের তেমন বড় কোন সমস্যা হচ্ছে না।
সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, মাদ্রাসার ৮ জন ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই বার্নের পেশেন্ট। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে আর দুইজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে দগ্ধ আট মাদ্রাসাছাত্রীকে ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাদিয়ার ১৩ শতাংশ, আলিয়ার ১৪ শতাংশ, আফরিনের ৫ শতাংশ, রুবাইয়ার ৫ শতাংশ, আয়মানের ২ শতাংশ, নুসরাতের ৩ শতাংশ, তুইবার ৩ শতাংশ এবং রওজার ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, আর বাকি তিনজনকে বর্তমানে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাহারুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
« বিজেশ্বরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন (পূর্বের সংবাদ)































