ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় দরপত্র জমাদানে বাঁধা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ, ড্রেন পরিস্কার ও রাস্তা ঝাঁড়–ও কাজের দরপত্র জমা দিতে এক ঠিকাদারকে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বাঁধাদানকারীরা ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে দরপত্রও ছিনিয়ে নেন। সোমবার দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দরপত্র জমাদান কাজ বন্ধ করেন পৌর প্রশাসক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৩, ৪ ও ৫ ন¤^র ওয়ার্ডের সার্বিক বর্জ্য অপসারণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিদিন সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ, ড্রেন পরিস্কার ও রাস্তা ঝাড়– প্রদান কাজের জন্য গত ৯ জুলাই দরপত্র আহবান করে কর্তৃপ¶। গত ২৭ জুলাই ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। সোমবার বেলা দুইটা পর্যন্ত ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। বর্জ্য অপসারণ, ড্রেন পরিস্কার ও রাস্তা ঝাড়ুর কাজের জন্য পৌরসভা থেকে ছয়টি দরপত্র বিক্রি হয়। সোমবার বেলা দুইটা পর্যন্ত পৌরসভায় তিনটি দরপত্র জমা পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বাসিন্দা মেসার্স সুপার ক্লিন বিডি লিমিটেডের মালিক রাজু চন্দ্র সিং নামে একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় আসেন। পৌরসভার নিচতলায় দরপত্র জমা দেয়ার বাক্সের পাশে কয়েকজন ঠিকাদার অবস্থান করছিলেন। তারা রাজুর পরিচয় এবং কেন এসেছেন জানতে চান। দরপত্র জমা দিতে এসেছেন একথা বলার পর ওই ঠিকাদাররা রাজুর কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেন এবং এক পর্যায়ে তারা রাজুকে জোরপূর্বক পৌরসভার বাইরে নিয়ে যান।
অনুরোধ করলেও তারা রাজুর দরপত্র ফেরত দেননি। শহর থেকে বের হয়ে রাজু বিষয়টি পৌরসভার প্রশাসক ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কাউসারকে অবগত করেন।
ভৈরবের ওই ঠিকাদার রাজু চন্দ্র সিং নবীনগর পৌরসভায় একই কাজ করছেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িূয়া পৌরসভায় দরপত্র জমা দিতে কে বা কারা বাঁধা দিয়েছেন তা জানা যায়নি। কারণ পৌরসভার লোকজন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজী হয়নি।
এ ব্যাপারে রাজু চন্দ্র সিং বলেন, দুপুর একটায় দরপত্র জমা দিতে যাই। দুইজন লোক আমাদের পথরোধ করে সেখানে যাবার কারণ জানতে চান। কাজটি তারা করবেন এবং আমাকে দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে আমার কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে খাম খুলে সককিছু দেখেন। দরপত্র ফেরত চাইলেও তারা দেনননি। সমস্যা হতে পারে ভেবে সেখান থেকে দরপত্র ছাড়াই আমি চলে আসি। বিষয়টি আমি পৌর প্রশাসককে মুঠোফোনে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, একজন দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। দরপত্রের সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া হয়েছে। সবকিছু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।































