Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও অভিষেকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আন্দোলনে যে ইতিহাস গড়ে উঠেছে তাকে ধরে রাখতে হবে: অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রঞ্জন চন্দ্র দে

[Web-Dorado_Zoom]

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্মৃতির ধারক বাহক সংগঠণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আনন্দমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পহেলা নভেম্বর শনিবার বিকাল হতে রাত পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) রঞ্জন চন্দ্র দে।

জেলা উন্নয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি আলী মাউন পিয়াসের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন এবং কমিটির শপথ পাঠ করান শহীদ মীর মুগ্ধ’র পিতা ও জেলা উন্নয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সাংগঠণিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীন, কবি ও গীতিকার সমাজসেবক দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ, জেলা উন্নয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ আনোয়ার আহম্মেদ লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আল আমিন শাহীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী। সাংগঠণিক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম নাছু’র উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ সামছুল আলম বাবু, মোঃ জয়নাল আবেদীন মালদার, সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, স্থায়ী কমিটির সদস্য এডঃ শেখ জাহাঙ্গীর, মোঃ শরীফ আহম্মদ খান, প্রভাষক মোশারফ হোসেন, ইউনেস্কো ক্লাব সভাপতি মোঃ আমির ফারুক, মোঃ আফজালুর রহমান রিপন, আলী ইলমূন পুন্ন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, ইতিহাস কখনো মুছা যায় না। ইতিহাসের ভিত্তিতেই গড়ে উঠে ঐতিহ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আন্দোলনে যে ইতিহাস গড়ে উঠেছে তাকে ধরে রাখতে হবে। বক্তাদের উত্থাপিত জেলার উন্নয়ন প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রাস্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে এসব সমাধানে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব। জেলার উন্নয়নে আপনাদের সংগঠণসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বক্তারা বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ জেলার উন্নয়ন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। উবায়দুর রউফ পলু ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলা করার দাবিতে আন্দোলন করে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁর ত্যাগ ও স্বপ্নকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তাঁর সেই আদর্শকে ধারণ করেই আমরা একটি উন্নত, আধুনিক ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তুলতে চাই, যা হবে সুন্দর বাংলাদেশের গঠণে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।” বক্তারা রেলওয়ে স্টেশনের আরো আধুনিকায়নসহ জেলা আন্দোলনে শহীদ পলু’র লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি (যেটি এখন জেলা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে স্থাপন করে সংরক্ষণ করার জন্য জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানান।

অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে আয়োজন করা হয় ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত অতিথি ও সদস্যরা একসাথে কেক কেটে ৩৪ বছরের সফল পথচলা উদযাপন করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন স্থানীয় শিল্পী ও সংগীতশিল্পীরা, যা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।






Shares