Main Menu

বিভক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি, এক কমিটির দুই আয়োজন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে গত ৪ নভেম্বর। ৫ সদস্যের কমিটির পরিধি বাড়িয়ে এদিন ৩২ জনকে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় কমিটি দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করেই নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে। তবে সেই ধারণা ভুল প্রমাণ হলো, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পদধারী ও শীর্ষ পদে আসতে না পারা নেতাকর্মীরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেছেন। শীর্ষ পদ বঞ্চিতদের সঙ্গে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। পদধারীদের কর্মসূচিতে ব্যাপক উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীসহ জেলা যুবদল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের উদ্যোগে একটি র‌্যালি পৌর এলাকার মূল সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।

অন্যদিকে, জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। শহরের মূল সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে সেটি লোকনাথ উদ্যানে (টেংকেরপাড়) শেষ হয়। এর আগে, জেলা পরিষদের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে, পরিধি বেড়ে ৫ থেকে বাড়িয়ে ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে সর্বশেষ সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন দলটির আলোচিত নেতা মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া। এর আগে, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির কমিটিতেও তার নাম রাখা হয়।

গত ৪ নভেম্বর নতুন ঘোষিত কমিটিতে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির বাকি ৩০ জনকে সদস্য করা হয়। বিএনপি ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদলের সাবেক অনেক নেতা এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, নূরে আলম সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমা, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, আবু শামীম মো. আরিফ, মো. আসাদুজ্জামান শাহীন, অ্যাডভোকেট এ. কে. এম কামরুজ্জামান মামুন, কাউছার কমিশনার, আলহাজ মো. আজিম, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, মাইনুল হোসেন চপল, এইচ. এম বাশার, শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, আহসান উদ্দিন খান শিপন, তরুন দে, মো. আল-আমিন লিটন, মো. সালাহ উদ্দিন, তানিম সাহেদ রিপন, আরমান উদ্দিন পলাশ, আলহাজ মো. মাহিন, আশরাফুল করিম রিপন, মজিবুর রহমান মন্টু, আবুল কালাম, নাছির আহমেদ, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন ও কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।

এর মধ্যে কবির আহমেদ ভূঁইয়া দলটির আলোচিত নাম। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত আব্দুর রহমান সানির ভাই হলেন কবির আহমেদ। বেশ কয়েকবছর ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও কোনো পদ-পদবি ছিল না।

কবির আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন বলে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানিয়েছেন। কবির আহমেদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে কসবা উপজেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতার দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে।

গত বছরের আগস্টে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক, মো. সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব, হাফিজুর রহমান মোল্লা, জহিরুল হক খোকন ও নূরে আলম সিদ্দিকিকে সদস্য করা হয় ওই কমিটিতে।






Shares