আমার ভাই শাহআলম, দুই দুইবারের এমপি। কসবাতেও থাকতে পারেন না। আখাউড়ায়ও যেতে পারেন না।
বর্ধিত সভায় যা বললেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি, কেন এই ফুটুর ফুটুর সুটুর সুটুর? (ভিডিও)
মনিরুজ্জামান পলাশ :: গত মঙ্গলবার সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ফজিলাতুন্নেচ্ছা বাপ্পীসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বর্তমান কমিটি নিয়ে কটু মন্তব্য করেছেন। যার সবগুলোর না দিলেও কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সভাপতি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোরডটকম এর পাঠকদের জন্য আজ আমরা সে বক্তব্য ভিডিও আকারে নিয়ে এসেছি।
সভাপতি বক্তব্যের শুরুতে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সব কথার জবাব দেবনা কারণ সে অর্থে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, কমিটিতে কোন বিরোধ ছিলনা। ২০১৫ সালে গঠিত কমিটি নিয়ে ২০১৭ সালে কথা বলার কোন যুক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করিনা । এটা অবান্তর।
বর্তমান কমিটির ঐক্য প্রচেষ্টার উদাহরণে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশে সমস্ত জায়গা থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয় তখন তার উপর থেকেও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। তারপরে তাঁকে জেলা কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে তার আগে নয়। তাহলে ঐক্যের প্রচেষ্টা আর কাকে বলে ?
কসবা-আখাউড়ার সাবেক সাংসদ এডভোকেট শাহ্ আলমকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমার ভাই শাহআলম, দুই দুইবারের এমপি। কসবাতেও থাকতে পারেন না। আখাউড়ায়ও যেতে পারেন না। কমিটিতে আমরা সহ-সভাপতি রাখিনাই? আইনমন্ত্রী তো এই কমিটিতে ছিলেন। সাবজেক্ট কমিটিতে। তাকে ম্যানেজ করেই তো রেখেছি। তাহলে ঐক্য আর কাকে বলে?
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর ও বিজয়নগরে দলীয় প্রার্থী পরাজয়ের দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, আমি লজ্জিত, আমি খুবই লজ্জিত যে এটা আমি পারিনি । আমি পারিনি আমার কোন কোন সহকর্মীর বিশ্বাস ঘাতকাতার কারণে। আমার সাথে শফিকুল আলম এমএসির সাথে আমার কোন বিরোধ নেই । তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি।
বক্ত্যের শেষ পর্যায়ে তিনি এক সিনিয়র নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার কাছে সরাসরি না বলে কেন এই ফুটুর ফুটুর সুটুর সুটুর। না করে আমাকে বললেই হয়, ভাই আপনি তো দুই দুইবার এমপি হয়ছেন। আপনি আর দাঁড়াইয়েন না। এবার আমি দাড়াব। জনগণ ও কর্মীদের সমর্থন থাকলে দাঁড়াননা আপনি, অসুবিধাডা কি? কিন্তু দলের ভেতর প্রার্থী হয়ে আপনি দাঁড়াইতে পারবেন? আগাইতে পারবেন? কোথায় যাবেন? খোঁজেও পাওয়া যাবেনা। একটি মহল্লা একটি গ্রামের সর্মথন দিয়া এমপি হওয়া যায়না।
এরপর তিনি সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সভার সমাপ্তি টানেন।
পুরো বক্তব্যটি দেখতে ভিডিওটি দেখুন