বঙ্গবন্ধুর সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে- উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন, দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংগ্রামের গর্বিত অংশীদার, শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরজ্জবল ৬৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, বনার্ঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
এ উপলক্ষে সোমবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট ও বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃব্দ মিছিল সহকারে শহরের লোকনাথ দিঘির পাড় মাঠে সমবেত হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতা কর্মী বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, নৌকা, বৈঠা সহকারে বর্ণিল সাজে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সাবেক ছাত্রলীগনেতা, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক টি এ রোড প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। পরে কলেজের লেকচার থিয়েটার হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, ছাত্রলীগের অহংকার, ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সহ সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুসলিম মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সভা পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান পরভেজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহর ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান আদিল। সভায় প্রথমবারের মত জেলা ছাত্রলীগের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা রাখার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দকে উত্তোরীয় ও ক্রেষ্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়। পরে অতিথিবৃন্দ ছাত্রলীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তেব্যে বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির একটি স্বতন্ত্র ইতিহাস রয়েছে। দেশের স্বাধীনতার ও গনতন্ত্রের সংগ্রাম সাথে রয়েছে ছাত্রলীগের বিশাল অবদান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে ও দেশ গড়ার কাজে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে যতাযথবাবে প্রস্তুত হতে হবে। তিনি বলেন দেশপ্রেম, মানবতা, অপরিমেয় দৈর্য্য, অসিমত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান একটি অজোপাড়া গা থেকে একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, একটি রাষ্ট্রের পিতা হয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন সবাই তো বঙ্গবন্ধু বা জাতির পিতা হতে পারবে না। তাই সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হতে হবে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। যে দেশের মানুষ একদিন শিক্ষিত, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথাউচু করে দাড়াবে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। এই জন্য সকল ছাত্রনেতাদের ভালো ভাবে লেখা পড়া করে দেশের যোগ্য নাগরিক হতে হবে। বঙ্গবন্ধু যে শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে চেয়ে ছিলেন, তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ছাত্রলীগ নেতা সহ সকল ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান।প্রেস রিলিজ