প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন উপাধ্যক্ষ আসমা বানু
[Web-Dorado_Zoom]
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের উপাধ্যক্ষকে নিয়ে গত ১৭/০৮/২০২৫ তারিখে brahmanbaria24.com পত্রিকায় প্রকাশিত ও বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে প্রেরিত ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ*
উপরোল্লিখিত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন তথ্য সংবলিত এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।আমি উপাধ্যক্ষ আসমা বানু ২০/০৯/২০১৫ থেকে ৩০/০৮/২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দাযিত্ব পালন করি।দায়িত্বভার গ্রহনের সময় ৩২ বছরে কলেজ ফান্ডে ৬০,৮৫,৬৬০.২০/-(ষাট লক্ষ পঁচাশি হাজার ছয়শত ষাট টাকা বিশ পয়সা) টাকা স্থিতি ছিল। এসময় আমি কলেজের আর্থিক স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসি এবং মাত্র এগারো মাসে কলেজ পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় বাদে ব্যাংকে ৯৮,৭০,১৮০/-(আটান্নবই লক্ষ সত্তর হাজার একশত আশি টাকা) স্থিতাবস্থায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সাহেবের নিকট ০১/০৯/২০১৬ তারিখে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেই।ওই সময় ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন কালে একটি স্বার্থান্বেষী মহল লুটপাট করতে না পারায় আমাকে কলেজক্যাম্পাসে হত্যার চেষ্টা করে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার সাধারন ডাইরী নং-১০৯৯/১৬ তাং-২৯/২/১৬)। এমনকি আমাকেজামাত শিবির ও জঙ্গী টেগ লাগিয়ে অপসারনের চেষ্টা করে (দৈনিক আজকের হালচাল, তারিখ-১৫ জুলাই ২০১৬)।
তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রিন্সিপালের চাকুরিকালের শেষ পর্যায়ে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে আমি আবারও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পাওয়ার সময় হওয়ায় নতুন করে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপনের মাধ্যমে ঐ অসাধু চক্রটি এবার আওয়ামীলীগের টেগ লাগিয়ে তাদের হীনস্বার্থ হাসিলের অবচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। যা শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করছে, সেইসাথে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না।এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৯৪ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে আমি প্রভাষক পদে প্রথম যোগদান করি। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ বিধি অনুসারে উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করি এবং নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে প্রভাষক পদে ইস্তফা দিয়ে উপাধ্যক্ষ পদে ২০১১ সালের ২৪ শে আগষ্ট পুনরায় এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি। পরবর্তীতে এমপিওভূক্ত হয়ে অদ্যাবধি (১৩ বছর ১১ মাস ২৬ দিন) সুনামের সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার অবসর গ্রহণের সময় ২০২৬।গত ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজে উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাষকের ১৩টি পদের জন্য এবং সহকারীলাইব্রেরিয়ানসহ মোট ১৫টি পদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২, “জনবল কাঠামো সংশোধিত আইন ২০১৯” এর সংশোধনীর পূর্বে নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গন্য হতো। সুতরাং সংশোধিত ২০১৯ এর আইন দিয়ে ২০১১ সালের নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনরূপ সুযোগ নাই।
#
১৯.০৮.২০২৫
আসমা বানু
উপাধ্যক্ষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজব্রাহ্মণবাড়িয়া।
« আখাউড়ায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি (পূর্বের সংবাদ)































