পরিচ্ছন্ন শহর বিনির্মাণে পৌরনাগরিকদের ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হব_মোকতাদির চৌধুরী এমপি
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, একটি পরিচ্ছন্ন শহর বিনির্মাণে পৌরবাসিকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পৌরবাসির অংশগ্রহণ, সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন নগর গড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই পৌর নাগরিকদের গৃহস্থলীর ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।’
তিনি বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিংসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। বর্তমানে উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পৌর পরিষদ। তাই এ শহরকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে পৌরবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মুজিব বর্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজের সুবিধার্থে পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তা, ফুটপাত, অলি-গলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিস্কার এবং মশা নিধন কেমিকেল ¯েপ্র করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে।
তিনি মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় বছরব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোকতাদির চৌধুরী করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সঠিকভাবে নির্দেশনা অনুসরণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিদেশ থেকে আগতদের নিজ উদ্যোগেই নিজেদের ‘কোয়ারেনন্টাইনে’ রাখার পরামর্শ দেন। তিনি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিজেরা যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি তাহলে আমরা রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারব। আর আমাদের পবিত্র ধর্মেও রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইনসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ। উদ্বোধনশেষে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।