নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সংলাপ ভোট চুরি প্রক্রিয়ার অংশ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনা শুরু করছেন- সেটিকে আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির একটি প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশ থেকে নিষেদাজ্ঞা আসছে। যারা ভোট চুরি,গুম-খুনের সাথে জড়িত,গনতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা হরনের সঙ্গে জড়িত তারা সবাই দেশে-বিদেশে পর্যবেক্ষনে আছেন। শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের।
সমাবেশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে হওয়ার কথা ছিল। তবে একই স্থানে এবং সময়ে জেলা ছাত্রলীগও ছাত্রসমাবেশ ডাকে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কীসের আলোচনা? যারা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ তে ভোট চুরি করেছে- সেই চক্র আগামী নির্বাচন ভোট কীভাবে চুরি করবে সেই আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটা ম্লূত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়ার অংশ। এই চোরদের সাথে আরও কিছু ছেচড়া চোরও আছে। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে এই চোরদের পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি আরও বলেন, চোরদের বলতে চাই- সেই পথ থেকে সরে আসুন। বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। কথায় আছে চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। এই দশদিন পার হয়ে গেছে। এখন চোর ধরতে হবে। যেখানেই এই চোরদের দেখবেন- জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এদের বলবেন তুই চোর- ভোটচোর। এদেরকে সামাজিকভেবে বয়কট করতে হবে। তিনি আরো বলেন- দেশকে মুক্ত করতে জনগন প্রস্তুতি নিয়েছে। এই জোয়ারে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি অঞ্চল,ইউনিয়ন,ওয়ার্ডে জনগনকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এক. কে. একরামুজ্জামান প্রমুখ।