ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস এর আলোচনা সভা
নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের মেধা ও কঠোর পরিশ্র্রমের মাধ্যমে:: মোকতাদির চৌধুরী এমপি
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, সভ্যতার শুরু থেকে সব কাজে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমান সরকার নারী-পুরুষের সমতা বিধানে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে সহযাত্রী করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। এ দেশের নারীরা আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের মেধা ও কঠোর পরিশ্র্রমের মাধ্যমে।
তিনি গতকাল রোববার সকাল ১০টায় সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং “প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস ২০২০ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, নারীদের অবমাননা, অমর্যদা, উপহাস অসম্মান করার ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় ইতিহাসে যাদের পতন হয়েছে তারা সকলে পরম জ্ঞানী, প্রভাবশালি ছিল। কিন্তু নারীজাতির অপমান করায় তাদের অবক্ষয় হয় ও ইতিহাসে তারা আততায়ী হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় ইতিহাস রচিত হয়েছে সেই মাতৃজাতিকে নিয়ে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বিশ্ব হতে হাজারো সভ্যতা, বংশ, কুল, সমাজ, জাতি। অতএব যারা নারীকে অবজ্ঞা করে, নারী জাতিকে সম্মান করে না আমরা তাদের দলে নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের সাথে নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, প্যানেল মেয়র-১ আলহাজ্ব ফেরদৌস মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ নজরুর ইসলাম শাহজাদা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান মনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চেয়ারম্যান ফরিদা নাজমীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, জেলা আওয়াম লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুরাদ খান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, হালিমা আক্তার কাজল, সাবেক কাউন্সিলর শামীমা বেগম, পৌরসভা নারী ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক গীতা রানী ঋষি, গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের মেধাবী ছাত্রী নাবিলা ইবনাথ, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী সারাফ নাওয়ার, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তারিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ আবুল বাশার, মোঃ খবির উদ্দিন, মিজানুর রহমান আনছারী, ওমর ফারুক জীবন, শাহ মোঃ শরীফ ভান্ডারী, মুফতি মাকবুল হোসাইন, আব্দুল হাই ডাবলু, রফিকুল ইসলাম নেহার, নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, পৌর সচিব মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাবরক্ষণ কমকর্তা গোলাম কাউসার, সহকারী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবসের একটি র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর মিলনায়নে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত, পরে মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশনা করেন আনন্দলোক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নৃত্য শিল্পীরা। অনুষ্ঠান শেষে শহরের বিভিন্ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ বিতরণ করা হয়।