Main Menu

তিতাস কমিউটার ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ, যাত্রীদের বিড়ম্বনা

[Web-Dorado_Zoom]

তিতাস কমিউটার ট্রেন প্রতিদিন ঢাকা-আখাউড়া, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া পথে চলাচল করে। ট্রেনটি পরিচালনায় আছে টি এম ট্রেডিং নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। চারবার আসা-যাওয়ায় ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গড়ে চার হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। সকালের ট্রেনে করে অনেকে ঢাকায় গিয়ে অফিস করে একইভাবে বিকেলে ফিরে আসেন।
চাকরিজীবী ছাড়াও অন্যান্য যাত্রীর কাছে ট্রেনটি বেশ জনপ্রিয়। ফলে এই ট্রেনের চাহিদা বেশি।

ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন অংশ অতিক্রম করে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায়। কিন্তু টিকিট নামের সোনার হরিণ পেতে যাত্রীদের অতিরিক্ত আরো তিন-চার ঘণ্টা ব্যয় করতে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে।
অনেকে অপেক্ষা করেও টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে কালোবাজার থেকে টিকিট কেনে।

মেঝেতে রাখা ব্যাগটা একটু একটু করে এগোচ্ছে, সঙ্গে নিজেও। এভাবে চলছে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক।

কাউন্টারের কাছে এসে কিছুটা স্বস্তি। সঙ্গে আছে হতাশারও ভাব, ‘টিকিট আছে তো?’ টিকিট পেয়ে বেশ খুশি বৃদ্ধ রতন চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের রতন চৌধুরী তিতাস কমিউটার ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় চলাচল করেন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে। গত শনিবার তিনি টিকিটের জন্য সকাল সোয়া ৯টায় রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়ান।

১১টায় কাউন্টারের কাছাকাছি আসেন। টিকিট পেয়ে একগাল হাসি দিয়ে বেরিয়ে আসেন ট্রেনের অপেক্ষায়। রতন চৌধুরীর ঠিক পেছনে থাকা জেলার আখাউড়া উপজেলার রমজান মিয়া জানান, তিনিও প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে ছিলেন। আখাউড়া থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো টিকিট না পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছিলেন তিতাস কমিউটার ট্রেনে চলার জন্য।

তিতাস ট্রেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ সজিব বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন স্টেশনের জন্য প্রায় ৪০০-এর মতো টিকিট বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার জন্য প্রায় ২০০ টিকিট বরাদ্দ থাকে। তবে যাত্রী থাকে কয়েক গুণ বেশি। চাহিদা বেশি হওয়ায় যাত্রীরা কাউন্টার খোলার সময়ের আগেই লাইনে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন।’






Shares