জেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব ওয়াহেদুল হক ওয়াহাব আর নেই, দাফন সম্পন্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব মোঃ ওয়াহেদুল হক ওয়াহাব (৬১) আর নেই। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়া নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহে…ওয়া রাজেউন)। পরে জনসমাগম এড়াতে প্রশাসনের নির্দেশে রাতেই তাকে শেরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় ইফতারের সময়ের পরপর ৬ টা বেজে ৪০ মিনিটে তার শারিরিক অবস্থার অবণতি হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি দীর্ঘ ধরে কিডনী, হৃদরোগসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিন ছেলে স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর খবরে তার নিকট আত্বীয়রা তার বাসায় ছুটে আসেন। তবে করোনা সংক্রম প্রতিরোধে জনসমাগম এড়াতে প্রশাসনের নির্দেশে রাতেই তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাত ১০টার দিকে ১২ জন করে দুই দফায় ১৪ জন তার জানাযার নামাজে অংশ নেন। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে শেরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, ওয়াহেদুল হক ওয়াহাব বর্ণাঢ়্য বাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের একনিষ্ট সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি আমার প্রতিবেশী। প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখি। আমরা মসজিদের মাইকে পর্যন্ত ঘোষণা দেইনি। আমি মরহুমের আত্বার শান্তি কামনা করি।
১৯৫৯ সালে জেলার সরাইল উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন মোঃ ওয়াহেদুল হক ওয়াহাব। তার বাবার নাম মৃত মোজাম্মেল হক। ৭৫ পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালের দিকে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। এরপর থেকে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন তিনি।