জামাত- শিবির জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে– আল মামুন সরকার
চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে সর্বাগ্রে বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জামাত- শিবির জঙ্গীবাদের আশ্রয় ও পশ্রয়দাতা পৃষ্ঠপোষকদের খুজে বের করে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের সূচনাকারী শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের বিদায়ের পর এসব পৃষ্ঠকপোষকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থতার কারণে আজকে গুলশানে এবং ঈদের জামাতে হামলা করার শক্তি ও সাহস পাচ্ছে জঙ্গীরা।
এসব পৃষ্ঠপোষকদের মাসিক চাঁদা/ অনুদান, জঙ্গীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় জঙ্গীবাদ বিস্তারের একমাত্র কারণ। শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবং পবিত্র মসজিদে নববী প্রাঙ্গণে সশ্রস্র হামলাকারীদের প্রসঙ্গে ইসলামের হেফাজতের দাবীদারদের মুখ খুলতে হবে। বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং ওয়াজ মাহফিলে যারা ইসলামের শাশ্বত বাণী প্রচার করেন, তাদেরকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন ও সোন্নাহ্র আলোকে সঠিক বক্তব্য ও ব্যাখ্যা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
গতকাল সোমবার জেলা আওয়ামী ওলামলীগ, ওলামা সমন্বয় পরিষদ ও বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের যৌথ উদ্যোগে জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তৃতাকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে ওলামালীগের সভাপতি মুফতি মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি নূরুল ইসলাম, হাফেজ মাওঃ জাকির হোসেন, কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওঃ আব্দুল্লাহ্, হাফেজ আনোয়ার শাহ্, মাওঃ নুজরুল ইসলাম, হাফেজ হেলাল উদ্দিন ও কারী আনিছুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা পবিত্র মসিজদে নববী প্রাঙ্গণে, কিশোরগঞ্জে শোয়ালাকিয়া ঈদের জামাত ও গুলশানে জঙ্গী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পবিত্র ইসলামের শাশ্বত শান্তির বাণীর অব্যাখ্যা করে ফ্যতনা ফেসাদ সৃষ্টিকারী একক জঙ্গীবাদীদের তৃণমূলে নির্মূল করতে আলেম সম্প্রদায়সহ মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাভাপতি হাবিবুল্লাহ্ বাহার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, কৃষকলীগের সভাপতি ছাদেকুর রহমান শরীফ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডঃ লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্, শ্রমিকলীগের সভাপতি কাউসার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।