অনলাইন-বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নোয়াখালী। গ্রেপ্তারকৃত মো. শাহ্ আলম (২৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তরপাড়া মিয়াবাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান।

এর আগে রোববার বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে আসামি ভিকটিমের কাছে ফেসবুক আইডি’র লিংক পাঠিয়ে ২০০ টাকা চেয়ে পার্টটাইম কাজ করা যাবে বলে সম্মত করে টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করে। প্রথমে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রথমবারে ২৬০ টাকার অনলাইন প্রোডাক্ট কিনলে লভ্যাংশসহ ৩৭০ বাদীকে বিকাশে ফেরত পাঠায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় লেনদেন ও প্রোডাক্ট কেনাকাটা হয়। ভুক্তভোগী অতিরিক্ত লাভের আশায় লোভে পড়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১ই জুন সর্বশেষ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা আসামির বিকাশ ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠায়। পরে বাদীকে টাকা বা প্রোডাক্ট ফেরত দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করলে আসামি বিভিন্ন কৌশলে টাকা আটকে গেছে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে সিটি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আরশাদ আলীর নামীয় একাউন্টে আরও ৩ লক্ষ টাকা জমা দিলে বাদীকে লভ্যাংশসহ সব টাকা একসঙ্গে ফেরত পাঠাবে বললে ভিকটিমের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে বাদী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান বলেন, আসামি উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য চায়নার চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় তিনি দেশে চলে আসেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণমুলক বিজ্ঞাপন দেখে তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বিভিন্ন অ্যাপ্স দিয়ে মানুষকে পার্টটাইম জব দেয়ার কথা বলে আসামি ও তার বড় ভাই নূর আলম অনলাইনে প্রতারণা করে টাকা নিত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।