Main Menu

গৌর চন্দ্র সাহা কর্তৃক মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

+100%-

gorababu

ফেইসবুকে ফেইক আইডি বিষয়ে দায়ী করার প্রতিবাদ

বাবু গৌর চন্দ্র সাহা কর্তৃক বিগত ১৬/০৫/২০১৬ ইং তারিখের সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন।

সম্মানিত প্রেসক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, সবাইকে আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনারা জানেন যে, বিগত ১৬/০৫/২০১৬ ইং তারিখে বাবু গৌর চন্দ্র সাহা অত্র প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে গৌর চন্দ্র সাহা কর্তৃক উপস্থাপিত বক্তব্য ১৭/০৫/২০১৬ ইং তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হইলে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আমার ভাসুর, দেবরদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক যে বক্তব্য প্রদান করেন আমি তাহার প্রতিবাদ জানাই।

joynta
প্রকৃত বিষয় এই যে, পূর্ব পাইকপাড়ার বান্নিঘাটে অবস্থিত জায়গা নিয়া গৌর চন্দ্র সাহার সঙ্গীয় অনিল কান্তি রায় গংদের সহিত বিরোধ সৃষ্টি হইলে। আমার ভাসুর, দেবররা অনিল কান্তি রায় গংদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ৮২/২০১৫ নং মোকদ্দমা আনয়ন করেন। অতঃপর গৌর চন্দ্র সাহা অনিল কান্তি রায় গংদের পক্ষ নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর নানা ভাবে অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় বিগত ০৪/০৪/২০১৬ ইং তারিখ ও ০৮/০৪/২০১৬ ইং তারিখ আমাদের পরিবারের লোকজনকে এবং আমাদের পক্ষের লোকজনকে গুরুতর মাইরপিট করে। উক্ত অন্যায় ভাবে মাইরপিটের ঘটনা হইতে বাচিবার জন্য গৌর চন্দ্র সাহা আমার স্বামীকে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার ক্রমে আমাদের পরিবারের লোকজনকে আসামী করিয়া জি/আর ২৩৯/১৬ নং মিথ্যা মোকদ্দমা আনয়ন করেন।
পরবর্তীতে আমরা থানায় মোকদ্দমা করিতে গেলে মোকদ্দমা গ্রহণ না করিলে, আমার ঝা ভগবতী রাণী দাস বিগত ১১/০৪/২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ২টি নালিশী মোকদ্দমা দাখিল করেন। উক্ত মোকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ক্রমে মোকদ্দমা ২টি রেকর্ড হয়। যাহার মোকদ্দমা নংÑ জি/আর ২৭৭/১৬ ও জি/আর ২৭৮/১৬।

বর্ণিত রূপ অবস্থায় গৌর চন্দ্র সাহা, জীবউৎস রায় প্রকাশে টেন্টু ও নিতীশ রঞ্জন রায় বিগত ০৪/০৫/২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে গ/ঈ পর্যন্ত জামিন প্রাপ্ত হয়।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, উক্ত ২টি মোকদ্দমায় জামিন প্রাপ্ত হইয়া গৌর চন্দ্র সাহা গংরা মোকদ্দমা ২টি নিষ্পত্তির জন্য আমাদের পরিবারের উপর বিভিন্ন প্রকার চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদান করিয়া আমাদের পরিবারের ক্ষতি করিবার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে। উক্ত বিষয়ে আমার ভাসুর জয়ন্ত দাস বিগত ১১/০৫/২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্য বিধির ১০৭/১১৪/১১৭ (গ) ধারায় মোকদ্দমা আনয়ন করেন। এরই মধ্যে গৌর চন্দ্র সাহার বিগত ১৬/০৫/২০১৬ ইং তারিখের সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যের মাধ্যমে “ফেসবুকের” বিষয়টি জানিতে পারি। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে “ফেসবুকের” বিষয়টি আমাদের পরিবারের কতেক সদস্যদের দায়ী করিয়া বক্তব্য প্রদান করেন। ইহাতে আমরা বিস্ময়ে হতবাক হইয়া যাই। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে আরো দাবী করেন যে, আমরা তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজাইয়া মোকদ্দমা আনয়ন করি। তাহাদের জখমীদের এবং আমাদের জখমীদের চিকিৎসার কাগজপত্র ও ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র পর্যালোচনা করিলে বিষয়টি আপনারা পরিস্কার ভাবে অনুধাবন করিতে পারিবেন।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লোখ্য, বাবু গৌর চন্দ্র সাহা ধন বলে ও জনবলে বলিয়ান বলে তিনি শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়নের আমাদের পারিবারিক মন্দিরটিতে গত ১ মাস যাবৎ গৌর চন্দ্র সাহা ও উনার লোকজনের ভয়ে পূজাঅর্চনা করিতে পারছিনা। আর দেবোত্তর সম্পত্তি ভোগদখল এর অভ্যাস উনার বংশানুক্রমিক। যে কোন দেবোত্তর সম্পত্তি সাধারণত গরিব, ভূমিহীন মানুষ বসবাস করেন কিন্তু উনারা অগাত সম্পত্তির মালিক হয়েও কারখানা ঘাট ও তৎসংলগ্ন তিতাস নদী ঐ পাড় বিরাট দেবোত্তর সম্পত্তি ভোগদখল করিয়া ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়িয়া এবং দোকান পাঠ গড়িয়া ভাড়া ও সিকিউরিটির টাকা ভোগ করিতেছেন।

সম্মানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, কোন প্রকার তথ্য প্রমান ও তদন্ত ব্যতিরেখে আমাদের পরিবারের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকিবার দরুন আমাদের মনে ধৃঢ় সন্দেহের সৃষ্টি হয় যে, আমাদের পক্ষের দায়ের কৃত মোকদ্দমা হইতে বাচিবার জন্য তিনি নিজে অথবা তাহার পক্ষের কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ফেসবুকের বিষয়টি সৃজন করিতে পারে।
এই অবস্থায় বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত ক্রমে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিবার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাইতেছি।
আমরা ব্্রা‏হ্মণবাড়িয়া তথা দেশবাসীকে এবং প্রশাসনকে প্রকৃত বিষয়টি অবগত করিবার লক্ষে অত্র সাংবাদিক সম্মেলনে এই বক্তব্য পেশ করিলাম। আমরা আমাদের পরিবারের উপর অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন ও আমাদের উপর সংগঠিত অপরাধের ন্যায় সঙ্গত বিচার পাওয়ার জন্য আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করিতেছি।
ধৈর্য্য সহকারে আমার বক্তব্য শোনার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিয়া আমি আমার লিখিত বক্তব্য সমাপ্ত করিলাম।






Shares