গোষ্ঠীগত দ্বন্দের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ:: লুটপাট, অগ্নিসংযোগ । আহত ২০



ডেস্ক ২৪:: গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরাশার উত্তর পাড়স্থ সৈয়দ আলীর গোষ্ঠী ও দক্ষিণ পাড়ায় মালেক মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দু’গ্রুপ একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭০/৮০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে করে উভয় পক্ষের ২৫/৩০ জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে মহিলা সহ ৯/১০ জন গ্রেফতার হয়।
বিবাদ নিরসনে গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে এক বৈঠক হয়। এ বৈঠকে সামাধান হয় ঝগড়া না করার ব্যাপারে। বৈঠকে সামাধান হলেও এক পক্ষের লোকজনকে পুলিশ ছাড়লেও অন্যপক্ষের লোকজনকে পুলিশ ছাড়ছে না একথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে একপক্ষের ভেতর ক্ষোভ জমতে থাকে।
এর জের ধরে সোমবার সকাল ৮টায় আবারও দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রবাসী হানিফ মিয়া এবং আমিরুলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়। এ সময় সালেক গোষ্ঠীর তাজু মিয়া, নজরুল ইসলাম, লিটন, রফিকুল ইসলাম, শামীম, ঝাড়– মিয়া, হামিদ মিয়ার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় প্রবাসী আমিরুলের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে, তাদের বাড়ি থেকে ২৫/৩০ ভরি স্বর্ণ সহ নগদ ৫/৭ লক্ষ টাকা লুট হয়। এ সময় লুটপাট করা হয় ডিপ ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিল। লুন্ঠনকারীরা পিকআপ ও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার সেকেন্ড অফিসার ইশতিকায়ক জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।