কালবৈশাখীতে কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড, আহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় কালবৈশাখীর আঘাতে অন্তত ৩০টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে এবং কিছু ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, উপড়ে পড়েছে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও ফসল। ঝড়ের কবলে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার সকালে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘এই ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের অন্তত ৩০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে৷ এছাড়া, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উড়শিউড়া এলাকায় সুলতানপুর পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বেশ কয়েকটি খুঁটি ও অসংখ্য গাছ। বর্তমানে এই এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, এদিন সকালে টর্নেডো আঘাত হানে। ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ে উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের আউয়াল মিয়ার কন্যা সাহিদা আক্তার (১৬) আহত হয়েছেন। তার পায়ে টিন বিদ্ধ হয়েছে। সাহিদা বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সুলতানপুর এলাকার ৩৫ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, উপমহাব্যবস্থাপক (টেকনিক্যাল) ও প্রকৌশলীদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে৷ তারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করবেন।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের ত্রাণসামগ্রীসহ সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।