কসবায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা: সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ১২ বছরের শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মাহবুবুল আলম খোকন।
দণ্ড পাওয়া শারমিন আক্তার (৩৬) উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বরাতে পিপি মাহবুবুল আলম বলেন, “শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে বিদেশে চলে যান। তিন সন্তানকে লালনপালন করতে শারমিনকে বিয়ে করেন শামীম।
“সুমাইয়া ছোট হওয়ায় তাকে সৎ মায়ের কাছে রেখে শামীম দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় ডিস লাইনের কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘরে সুমাইয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শামীম দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার গলায় কালো চিহ্ন দেখে থানায় খবর দেন।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় শারমিনকে প্রধান করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেন শামীমের ছেলে আরমান ভূঁইয়া।
গ্রেপ্তারের পর শারমিন শ্বাসরোধ করে সুমাইতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কসবা থানার এসআই লিয়াকত আলী শারমিনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান পিপি মাহবুবুল আলম।