করোনার লক্ষণ থাকায় সদর হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে রোগী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) চিকিৎসা নিতে আসা করোনার প্রাথমিক লক্ষণের কথা শুনে হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে পালিয়ে গেছে এক রোগী।
দীর্ঘদিন যাবত জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসে। ব্যক্তিটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা জনিত নিউমনিয়ার লক্ষণ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আসে। তার জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ এবিএম মুসা করোনা সিনড্রোম থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন এবং মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে বলেন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা করার আগেই করোনার ভয়ে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ধানতলিয়া গ্রামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চিকিৎসা না নিয়েই পালিয়ে যায় ।
এর আগে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে গায়ে জ্বর নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। করোনার লক্ষণ থাকায় তাকে পরীক্ষা করা হবে শুনে ভয়ে (সাথে আসা লোকদেরকে) নিয়ে পালিয়ে যান ওই রোগী।
এদিকে নাসিরনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ অভিজিৎ সাহা বলেন- এখন পর্যন্ত ৫জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখনো কোন রকমের সংক্রামন পাওয়া যায়নি । চাতলপাড় ইউনিয়নের ধানতলিয়া গ্রামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চিকিৎসা না নিয়েই পালিয়ে গেছে কিনা এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি ।
সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম সরকার বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিভিন্ন উপজেলায় ২০-২৫ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারান্টাইন রাখা হয়েছে । তাদের মধ্যে এখনো কোন রকমের সংক্রামন পাওয়া যায়নি ।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন- দুপুরের দিকে গায়ে জ্বর নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি । কিন্তু চিকিৎসা না নিয়েই পালিয়ে গেছে ওই ব্যক্তি । তিনি জানান, হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে ।
সংগত কারণেই রোগীর নাম ও পিতার নাম গোপন রাখা হয়েছে।