ওয়ার্ল্ড কনসার্নের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস অনুষ্ঠিত
”র্স্মাট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন” এই প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড কনসার্ন (বাংলাদেশের) উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপি শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনসিয়র প্রোটেকশন এন্ড জাষ্টিস থ্রু ইনটিগ্রেটেড এ্যাপ্রোচ (ইপজিয়া) প্রজেক্টের আয়োজনে সুহিলপৃুর ওয়ার্ল্ড কনসার্ন অফিস প্রাঙ্গনে মোট ১০০জন শিশু, কিশোর-কিশোরী, শিশু ফোরামের সদস্য, ও সামাজিক সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা সামাজিক সুরক্ষা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর খান দুলাল।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন। এসময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান না থাকলে আমরা এত সুন্দর সোনরা দেশ পেতাম না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জন্য অনূপ্রেরনা। তিনি এদেশের মানুষদের অপরিসিম ভালোবেসেছেন আর এই ভালোবাসার ফলেই নিজেকে উৎস্বর্গ করেছিলেন। বাংলাদেশের আরেকটা নাম হলো বঙ্গবন্ধু।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন সামাজিক সুরক্ষা কমিটি ইপজিয়া (প্রকল্প) সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক। মোজাম্মেল হক তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা জানাতে হবে,এটা আমাদের সকলের বড় দায়িত্ব। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নানা উন্নয়নমূখী কর্মকার্ন্ড তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর ওয়ার্ল্ড কনসার্নের প্রোগ্রাম অফিসার (ইপজিয়া প্রকল্প) মি. প্রবাল সাহা (অর্ক)। ইপজিয়া প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি আমাদের স্বাধীন একটি সোনার বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তার অবদানের কারনেই আমরা আজ সবাই বাংলা ভাষায় স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছি।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ার্ল্ড কনসার্ন (বাংলাদেশ) এর পক্ষে নূর-নবী সরদার, ব্রাঞ্চ ইনচার্জ আর,এম,সি.পি। অনুষ্ঠানে গ্রামের মোড়ল, ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ইপজিয়া প্রকল্পের জাগ্রত কিশোরীদলের সদস্য নদী রানী বিশ্বাস।