দক্ষিন পৈরতলা শাহ সুফি সৈয়দ শেখ জালাল (রাহঃ) এর বাৎসরিক উরশ বা ইছালে ছাওয়াব মাহফিল
গতকাল ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ইং, রোজ- বৃহষ্পতিবার দক্ষিন পৈরতলাস্থ শাহ সুফি সৈয়দ শেখ জালাল (রাহঃ) এর তিনদিন ব্যাপী বাৎসরিক উরশ বা ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের ছিল শেষদিন। উক্ত উরুছ বা ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের শেষদিনে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সংগ্রামী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন আমাদের এ স্বাধীন বাংলাদেশ সহ ভারত উপমহাদেশে কোন নবী ও রাসুল আগমন করেনি। সুদুর ইয়েমেনদেশ থেকে ইসলামের শান্তির বার্তা সর্বস্তরের মুসলমানদের নিকট পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে আগমন করেন বাবা শাহ সৈয়দ শাহজালাল ইয়ামেনি মোজাদ্দেদী (রাঃ)’র সাথে ৩৬০ ( তিন শত ষাট) আউলিয়ায়ে কেরাম। যিনাদের অক্লান্ত পরিস্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি শান্তির ধর্ম ইসলাম। যদি তখন আউলিয়ায়ে কেরামগন আগমন না করিত তবে হয়তো এখনো আমরা এ শান্তির ধর্ম ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে থাকতাম। আর তাই আজ প্রতিনিয়ত সেই সকল আলিয়া কেরামগনের স্বরন করে আউলিয়া কেরামগনের রওজামোবারকে ধর্ম প্রাণ মুসলমানগন জিয়ারতের মাধ্যেমে আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ)’র আনুগত্যে লিপ্ত থাকতে চেষ্টা করছে এবং করবে। আর তার-ই ধারাবহিকতায় ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আউলিয়া কেরামগনের মেহনতকে এ দেশের মুসলিম জাতী কখনো ভুলবেনা ও ভুলতে পারবেনা।
উক্ত বাৎসরিক উরশ বা ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিল খারঘর দরবার শরিফের পীর সাহেব পীরে তরিকত আলহাজ্ব শাহ সুফি আব্দুস সালাম, মাওলানা সুলতান মাহমুদ সারতুনি, জেলা ছাত্রসেনা সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা ইকবাল হোসাইন শাহ বাবুল, ছাত্রসেনা সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ ঈমান আলী, উত্তর পৈরতলা খানকায়ে চিশতীয়া হাফেজিয়া মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বরী ইউনুছ, উত্তর পৈরতলা ফারকানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা শাহিন আহমেদ হাজারি, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবু সহ দরবার শরিফের অসংখ্য অগনিত ভক্ত বৃন্দ।প্রেস রিলিজ