Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা

আগামী প্রজন্মকে সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ উপহার দিতেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল:র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

+100%-

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ উপহার দিতেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল।

আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে খুঁনি মোশতাকের সাথে জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগের ৬ দফাকে নসাৎ করতে তখনও দলের ভেতর খুঁনি মোশতাকের মতো কিছু বড় বড় নেতা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এখনও আছে।

তিনি বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশের সেরা মহিলা খেলোয়ার সুলতানা কামালকে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল স্বাধীনতার অন্যতম মহানায়ক শেখ কামাল কে। যিনি ক্রীড়াঙ্গনে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন সেদিন, যুব সমাজের অহংকার ফজলুল হক মণি কে এবং নরপিচাশরা সেদিন ফজলুল হক মণির অন্তঃসত্বা স্ত্রীও রেহায় দেননি। মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, সেদিন কি অপরাধ করেছিল অবুঝ শিশু শেখ রাসেলের। অবুঝ শিশু শেখ রাসেলও সেদিন রক্ষা পায়নি এই নর পিচাশদের হাত থেকে।

মোক্তাদির চৌধুরী এমপি বলেন, এখনও যারা চিন্তা করছেন বঙ্গবন্ধু কে হাঁটো করতে আপনারা সাবধান হয়ে যান এখন আমাদের আগামী প্রজন্মরাও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জেনে গেছে।

আমি অহংকার করে বলতে চাই বর্তমান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এর পিতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সেদিন খুঁনি খন্দকার মোশতাকের অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করে দিয়েছিলেন। কারন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক রাজসিংহাসনে বসে বৈঠকে সেদিন আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অহংকার সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়াকে ডেকেছিল সেদিন সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া মোশতাকের অবৈধ ক্ষমতা দখল কে চ্যালেঞ্জ করে বৈঠক ভন্ডুল করে এসেছিল।

মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, হিমালয় ও পাহাড় সমান দুঃখ কষ্ট কে বুকে চাপা দিয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও তাঁর বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী সাংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি কন্যা অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, পুলিশ মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম ( বার), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী বলেন, বঙ্গবন্ধু মাথা উঁচু করে বাঙ্গালী জাতিকে বাঁচার শিক্ষা দিয়েছেন ঘাতকদের বুলেটের আঘাতের কাছে নিজেকে বাঁচাতে প্রাণ ভিক্ষা চায়নি। তিনি অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দ্রুত ফাঁসির কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহবান জানাই। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বরধাস্থ করা হবেনা। বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য বাঙ্গালী জাতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।

জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এম কামরুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম,জেলা ওর্য়াকার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মাসুদ,জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রা, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনিন।

এসআর ওসমান গণি সজিব এর পরিচালনায় অনুষ্টানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আব্দুল মান্নান সরকার, বাছির দুলাল, ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান।

অনুষ্টানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন অভিজিৎ রায়।

 






Shares