ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার,৩৫জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ৪৬ জন প্রার্থীর মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল প্রত্যাহারের দিন। বিকেল পর্যন্ত জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটি, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টির ১১জন প্রার্থী মনোনয়পত্র প্রত্যাহারপত্র জমা দেন। এতে করে জেলার ৬টি আসনে ৩৫জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চুড়ান্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন যারা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর)
১। জাকের পার্টির-মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ)
১। আওয়ামীলীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু।
২। জাকের পার্টি-জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
৩। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহম্মেদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর)
১। জাকের পার্টি- সেলিম কবির।
২। জাতীয় পার্টি-মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া)
১। জাকের পার্টি- মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২। জাতীয় পার্টি- তারেক এ.আদেল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর)
১। জাকের পার্টি- মো.জামসেদ মিয়া।
২। জাসদ-এডভোকেট মোহাম্মদ আক্তার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর)
১। জাকের পার্টি- মো. আব্দুল আজিজ।
চুড়ান্ত ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যারা করবেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর)
১। আওয়ামীলীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম,
২। জাতীয় পার্টি-মো. শাহানুল করিম,
৩। স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান,
৪। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-মো. ইসলাম উদ্দিন,
৫। স্বতন্ত্র প্রার্থী-আব্দুল মান্নান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ)
১। স্বতন্ত্র বিদ্রোহী- মঈনউদ্দিন মঈন,
২। জাতীয় পার্টি-অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ
৩। জাতীয় পার্টি-মো. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া
৪। স্বতন্ত্র প্রার্থী-এডঃ মো. জিয়াউল হক মৃধা
৫। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন-ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ।
৬। তৃনমূল বিএনপি-মাইনুল হাসান।
৭। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- মো. রাজ্জাক হোসেন।
৮। ইসলামী ঐক্যজোট-মো. আবুল হাসনাত।
এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ মনোনয়ন দাখিল করেন। আওয়ামীলীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতায় এই আসনটি মোঃ আবদুল হামিদকে দেয়া হয় কিন্তু জাতীয় পার্টির প্যাডে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর)
১। আওয়ামী লীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী,
২। ইসলামী ফ্রন্ট-সৈয়দ মো. নূরে আজম।
৩। জাসদ-মো. আব্দুর রহমান খান ওমর।
৪। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন-মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদি।
৫। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাস।
৬। বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-সোহেল মোল্লা।
৭। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-জামাল রানা।
৮। স্বতন্ত্র বিদ্রোহী-ফিরোজুর রহমান ওলিও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া)
১। আওয়ামী লীগ-আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
২। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- শাহীন খান।
৩। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন- ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর)
১। আওয়ামীলীগ-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
২। স্বতন্ত্র এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ।
৩। জাতীয় পার্টি-মোবারক হোসেন দুলু।
৪। ইসলামী ঐক্যজোট- মেহেদী হাসান।
৫। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-মো. জামাল সরকার।
৬। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন-ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস।
৭। তৃণমূল বিএনপি-মুফতী হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর)
১। আওয়ামীলীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম।
২। জাতীয় পার্টি-অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন।
৩। বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-কবির মিয়া।
৪। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-সফিকুল ইসলাম।