তিন মাস ধরে সাব রেজিষ্টার নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে, ভোগান্তি চরমে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব-রেজিস্ট্রার পদটি শূন্য থাকায় চরম ভোাগান্তি পোহাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা। জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী এ দফতরে রাজস্ব আদায় কমে গেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। দ্রুত কেনা-বেচার মাধ্যমে নির্বিঘ্নে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে ও দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সাব-রেজিস্টার নিয়োগ দিবে কর্তৃপক্ষ এমনটি প্রত্যাশা সাধারণ মানুষ ও দলিল লেখকদের।
জানা যায়, তিন মাস আগে সাব রেজিষ্টার বদলি হওয়ার পর থেকে সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদটি শূন্য রয়েছে। এর পর থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সব ধরনের কাজ কর্ম গতিহীন হয়ে পড়েছে। সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মানুষের ভোগান্তি ক্রমেই বেড়ে চলেছে।এছাড়া এ অফিসের সঙ্গে জড়িত প্রায় মহরার ও নকলনবীশ লেখকরাো অলস সময় পার করছেন। বর্তমানে সাপ্তাহের কয়েকদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাব-রেজিস্ট্রার এনে কোন রকম সেবা চালু রাখা হয়েছে।
দলিল লেখক মুক্তার মিয়া বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবস্থান । নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জমি কেনা বেচা কমে গেছে। মানুষজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত এ অবস্থার অবসান চাই আমরা।
অপর দলিল লেখক কাউসার মিয়া বলেন, আমাদের অনেক লোক দলিল করতে দূর দূরান্ত থেকে আসে কিন্তু নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় তাদের ফেরত যেতে হয়।
হনুফা বেগম নামে এক নারী জানান, জমির দলিল করতে তিনি ২ সাপ্তাহ যাবৎ এখানে আসছেন। কিন্তু তিনি আসলে সাব-রেজিস্ট্রারকে পান না। আবার সাব-রেজিস্ট্রার যে দিন আসেন সে তিনি আসতে পারেন না। তাই এখানে নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার দেয়ার দাবি তার।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থানায় তাদের কাজ কমে গেছে। অনেক সেবা গ্রহীতা মাসের পর মাস ঘুরেও সেবা পাচ্ছেন না। সরকারের রাজস্ব ৩৫% কমে গেছে বলেও জানান তিনি। দ্রুত সাব রেজিস্টার নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
জেলা রেজিষ্টার সরকার লুৎফুল কবির বলেন, সারা দেশেই সাব-রেজিস্ট্রার সংকট রয়েছে। বর্তমানে আমরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাব-রেজিস্ট্রার এনে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি গুরুত্ব বিবেচনায় শ্রীঘ্রই এখানে সাব-রেজিস্ট্রার পদায়ন করা হবে।