অপহরণের ২১ দিন পরও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী, উৎকণ্ঠায় স্বজনেরা



ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা এলাকার সাতবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) অপহরণের ১৭ দির পরও উদ্ধার হয়নি। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এখনো ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকার সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাতবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একই উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম নোয়াপাড়া গ্রামের মহরম আলীর রখাটে ছেলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২২) করোনা পরিস্থিতির আগে স্কুলে আসা য়াওয়ার পূর্বে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিবারকে অবহিত করা হলে ওই রখাটে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিবার। ওই ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক জানালে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিবার কর্ণপাত করেননি। পরিবারের লোকজনের সহায়তায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ গত ৫ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে জেলা শহরের হলি ল্যাব হাসপাতালের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ওই ছাত্রীর মা এ ব্যাপারে গত ৮ অক্টোবর সদর থানায় একটি অপাহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তাঁর মা-বাবাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামাকেও আসামি করা হয়েছে।পুলিশ অপহরণের ২১ দিন পরও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পানেনি। এমনকি কোনো আসামিও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ওই ছাত্রীর মা ও মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন,‘ আসামিরা খুব প্রভাবশালী, এ জন্য পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। আমরা এখন চিন্তায় পড়েছি। আমার মেয়েকে খুন করে লাশ গুম করেতে পারে আসামিরা। আমি আমার মেয়ের দ্রুত উদ্ধার চাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই সোহেল রানা বলেন,‘ স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মূল আসামি কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না। যার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরও চেষ্টা অব্যাহত আছে।