সিরিয়ায় মার্কিন জোটের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা হুমকি রাশিয়ার
সিরিয়ায় বড়সড় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল আমেরিকা-ফ্রান্স-ব্রিটেনের যৌথবাহিনী।
গত সপ্তাহেই সিরিয়ায় রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বাশার আল আসাদের সেনার বিরুদ্ধে। তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবারেই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। তার পরই এই হামলা চালানো হয়। তিনি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিরিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ না করে তা হলে হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো জানায়, আমেরিকার এ ধরনের কাজকে যে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না তারা। আমেরিকা যা করছে তার ফল খুব একটা ভাল হবে না। ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যানাটোলি অ্যান্তোনোভ বলেন, “আমেরিকাকে এর মূল্য চোকাতেই হবে।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “ রাশিয়াকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্টকে অপমান করা হচ্ছে। এটা কিন্তু কোনও ভাবেই মেনে নেবে না রাশিয়া।”
শনিবার ভোর থেকেই সিরিয়ার উপর পর পর বিমান হামলা চালায় আমেরিকা-ফ্রান্স-ব্রিটেনের যৌথবাহিনী। এর পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরের মার্কিন রণতরী থেকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়। হামলার লক্ষ্য ছিল গ্রেটার সিরিয়ার বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র এবং হোমসের রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার।
কেন এই হামলা চালানো হয়েছে দেশবাসীকে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেন, “সিরিয়াকে এ ধরনের ঘৃণ্য এবং পাশবিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।”
গত সপ্তাহে রাসায়নিক গ্যাস হামলা সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল অন্ততপক্ষে ৮০ জনের। সেই হামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। তখনই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন আসাদকে। কিন্তু তার পরেও রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানো হয়ে বলে অভিযোগ। যদিও সিরিয়া এবং তার সহযোগী রাশিয়া এই হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
এ দিনের হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস মাতিস বলেন, “আসাদ ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখে, হামলার মাধ্যমে সেই বার্তাটাই দিতে চাওয়া হয়েছে। আশা করি আসাদ এটা বুঝতে পারবেন।”
এ দিনের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ফেসবুক পোস্টে জানান, যখন সিরিয়া শান্তির পথে হাঁটার সুযোগ পেয়েছে, সেই সময়ই হামলা চালাল আমেরিকা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, মার্কিন জোট ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বিমান ও রণতরী থেকে। হামলা চালানো হয়েছে সিরিয়ার সেনাঘাঁটি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায়।