শ্রমিকদের কাফালা ব্যবস্থায় পরিবর্তন সৌদির



বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ বিষয়ক ‘কাফালা’ ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। এখন থেকে দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকরা তাদের নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন।
রোববার থেকে সংস্কারকৃত শ্রম আইন কার্যকর হওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বহু বছরের বিতর্কের জেরে কর্মীদের কাফালা বা স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা বাতিল করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ব্যাপক বিতর্কিত কাফালা ব্যবস্থায় সংশোধন আনার পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দেয়।
১৯৫০-এর দশকে প্রবর্তিত এ ব্যবস্থায় প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের নিয়োগকর্তা ও স্পন্সরের নির্দেশে চলতে হয়। এমনকি তাদের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে আসা-যাওয়া করা যায় না। এককথায়, নিয়োগকর্তা শ্রমিকদের ভিসা ও আইনি অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করেন।
সৌদি গেজেট বলেছে, কাফালা ব্যবস্থা বাতিলের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে করে শ্রমিকদের সৌদি আরবে যাওয়া ও সেখান থেকে চলে আসার স্বাধীনতা থাকবে। এতে তাদের নিয়োগকর্তা বা স্পন্সরের অনুমোদন লাগবে না। এছাড়া সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কাজে যোগ দিতে পারবেন শ্রমিকরা।
এ উদ্যোগটি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সংস্কার। যুবরাজের ভিশন ২০৩০ উদ্যোগে সৌদি অর্থনীতিতে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে কাফালা ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে দীর্ঘদিনে ধরেই আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে কাতার এ ব্যবস্থায় কিছুটা সংস্কার এনেছে। দেশটিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা নিয়োগকর্তার অনুমোদন ছাড়াই দেশত্যাগ করতে পারেন।
কাফালা ব্যবস্থা কয়েক দশকের পুরনো ব্যবস্থা। বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দিতে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এসব শ্রমিকের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।
এ ব্যবস্থায় সৌদি নিয়োগ কর্তাদের হাতে শ্রমিকদের পুরো দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবে শ্রমিকদের নির্যাতনের অভিযোগ আছে তাদের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে।