মার্কিন প্রেসিডেন্টও করোনা আতঙ্কে ভুগছেন, ঘরবন্দি ইভাঙ্কা
নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে চিন যখন মহামারির সঙ্গে যুঝছে, সেই সময়ই সপরিবারে ভারতে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন করোনা আতঙ্ককে বিশেষ আমল না দিলেও, প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাসের আতঙ্কেই এখন তটস্থ হোয়াইট হাউস। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, নিজে থেকেই ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে উদ্যোগী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর বাড়ি থেকেই যাবতীয় কাজ সারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর উপদেষ্টা তথা কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
নোভেল করোনার জেরে শুক্রবারই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরই নিজেও ডাক্তারি পরীক্ষা করাবেন বলে জানান তিনি। হোয়াইট হাউসের ‘রোজ গার্ডেনে’ দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেন, এখনও পর্যন্ত করোনার উপসর্গ দেখা দেয়নি তাঁর। তবে খুব শীঘ্র নিজের ডাক্তারি পরীক্ষা করাবেন তিনি।
যদিও এক দিন আগেই হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ট্রাম্পের ডাক্তারি পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই। তা হলে আচমকা কেন মত পাল্টালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? সেই নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার পাম বিচের ‘মার-এ-লাগো’ রিসর্টে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো, তাঁর প্রেস সচিব ফ্যাবিও ওয়াজনগার্টেন এবং সে দেশের রাষ্ট্রদূত নেস্টর ফোরস্টারের সঙ্গে পাশাপাশি বসে নৈশভোজ সারেন ট্রাম্প। দেশে ফিরে প্রথমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ফ্যাবিও। তাঁর শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এর পর নেস্টরের শরীরেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাতেই নাকি ভয় পেয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
একই ভাবে, দিন কয়েক আগেই মার্কিন সফর সেরে দেশে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন। ওয়াশিংটনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশু নিগ্রহ রোখা নিয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। কিন্তু দেশে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডাটন। শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে ইভাঙ্কার। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত কিছু দিন বাড়ির বাইরে পা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।