Main Menu

ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬ শীর্ষ জামাত নেতা গ্রেফতার

+100%-

inj

কলকাতা পুলিশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। শহর থেকে গ্রেফতার করা হল ৬ জঙ্গিকে। এদের মধ্যে ২ জন ‘র’ ও এনআইএস-র তালিকায় থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বলে জানা গিয়েছে। এরা খাগড়াগড়-কাণ্ডে যুক্ত ছিল। বাংলাদেশের জামাতের সঙ্গে এদের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। পুজোর আগে কলকাতায় নাশকতার ছক কষতে এরা এসেছিল বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এদের মধ্যে একজনকে অসমের কাছাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্যদের রবিবার রাতে বারাসত ও বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসটিএফ।

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের ‌যোগা‌যোগ ছিল। সোমবারই এদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। এইসব জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশকিছু আপত্তিকর নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গেছে বেশকিছু জাল নোট। এছাড়াও ছিল ল্যাপটপ, মোবাইল ও ভুয়ো পরিচয়পত্র, তার কাটার যন্ত্র, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বই।

এইসব জঙ্গিরা দেশে বেশ কয়েকটি নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল। কলকাতার যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দমন শাখা) বিশাল গর্গ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, এইসব জঙ্গিরা কি উদ্দেশে কলকাতায় এসেছিল তা জেরা করে জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। ধৃত জঙ্গিরা হল- মওলানা ইউসুফ, এই জঙ্গি বাংলাদেশের বাসিন্দা। জেএমবি সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য একে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ধৃত আনোয়ার হুসেনও বাংলাদেশের বাসিন্দা। শাহিদুল ইসলাম নামের এক জঙ্গি অসমের বরপেটার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, নাশকতার পরিকল্পনা করাই ছিল এই জঙ্গির আজ। বাংলাদেশি জঙ্গি মহম্মদ রুবেল ছিল NIA-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়। রুবেল IED তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। অসমের বরপেটার বাসিন্দা আরও এক জঙ্গি আব্দুল কালামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। NIA-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার নাম জামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদুল ইসলাম। একেই অসমের কাছাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সিআইএসএফকে কলকাতায় বড়সড় নাশকতার ব্যাপারে একটি সতর্ক করে। আশঙ্কা করা হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর, পার্কস্ট্রিটের মতো জায়গায় হামলার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কেন্দ্রের ওই সতর্কবার্তার পরই কলকাতা ও কলকাতা লাগোয়া দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ।






Shares