বাইডেনের বিলাসবহুল উড়োজাহাজে কী আছে



যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। এখন থেকে বাইডেনের সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য তৈরি থাকবে একটি বোয়িং ৭৪৭–২০০বি উড়োজাহাজ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ উড়োজাহাজ হিসেবে বিবেচিত। এয়ারফোর্স ওয়ান প্রেসিডেন্টের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
উড়জাহাজটিতে রয়েছে উড়ন্ত অবস্থায় জ্বালানি ভরার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এর মধ্যে অবস্থানের সময় মোবাইলে হোয়াইট হাউসকে যে কোনো কমান্ড দিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। তিন তলা বিশিষ্ট উড়জাহাজটির ভেতরে প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে।
এর সিংহভাগ প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির জন্য বরাদ্দ। এতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ডাইনিং রুম ও কনফারেন্স রুম রয়েছে। একান্তে সময় কাটানোর জন্য বিশেষ জায়গা রয়েছে। সিনিয়র সদস্যদের জন্য রয়েছে আলাদা অফিস রুমও।
এছাড়াও রয়েছে দুটি খাবারের জায়গা। যেখানে একসঙ্গে ১০০ জন বসে খেতে পারেন। সিনিয়র সদস্য, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও বিমানের কর্মীদের জন্য আলাদা থাকার জায়গাও আছে। এই বিমানের জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা এতটাই যে, সারা বিশ্বে চক্কর দিতে পারবে।
এয়ার ফোর্স ওয়ান একসঙ্গে ২৬ জন ক্রু সদস্যসহ মোট ১০২ জন যাত্রীকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। সবার জন্যই আলাদা শোওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সবসময় চিকিৎসক থাকেন এবং প্রেসিডেন্টের জন্য রক্ত মজুত থাকে।
রাস্তায় চলার সময় প্রেসিডেন্টের গাড়ির আগে-পিছে যেমন আরও অন্য গাড়ি থাকে কনভয়ে। তেমনি প্রেসিডেন্টের প্লেনের আগেও কিছু কার্গো প্লেন থাকে। ১৯৯০ সালে বোয়িং প্রথমবারের মতো এয়ার ওয়ান উড়োজাহাজ দেয়। এটি প্রথম ব্যবহার করেন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ।