বাংলাদেশ – ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ :: ভারতীয় জুয়াড়িকে ফেরত পাঠানো হয়েছে



বিবিসি:: বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ চলার সময় যে ভারতীয় নাগরিককে জুয়াড়ি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল, দূতাবাসের মাধ্যমে তাকে শেষ পর্যন্ত নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি চলছিল শুক্রবার বিকেলে। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে দেখতে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন আর টেক্সট পাঠাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি’র দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট আকসুর কর্মকর্তাদের নজরদারিতে ধরা পড়ে বিষয়টি।
আকসু ঐ ব্যক্তিকে জুয়াড়ি বা ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করেছিল। বিষয়টি তক্ষুনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি’র কর্মকর্তাদের জানায় আকসু।
এরপর পুলিশের একটি দলকে সাথে নিয়ে ঐ ব্যক্তিকে আটক করে মিরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভুইয়া মাহবুব হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, আটকের পর জানা যায় ঐ ব্যক্তি একজন ভারতীয় নাগরিক।
কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকে কোন প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরদিন তাকে ভারতীয় দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মি. হোসেন বলছেন, এরপর সে রাতেই ঐ ব্যক্তিকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং বা গড়াপেটা নতুন কিছু নয়। তবে ফিক্সিং বন্ধ করতে আইসিসি খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সেকারণে যে কোন টুর্নামেন্টে আইসিসি’র দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিট আকসুর বিশেষ নিরাপত্তা দল কার্যকর থাকে এবং এরা সার্বক্ষণিকভাবে প্রতিটি ম্যাচ মনিটর করে থাকে।
এমনকি প্রতিটি ম্যাচের সময় ড্রেসিং রুমে আকসুর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলাকালে চারজন ভারতীয় জুয়াড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।