ফিলিপিন্সে মাদক বিরোধী অভিযানে ৩২ জন নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিপিন্সে মাদক-পাচার বিরোধী অভিযানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩২ জন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় অভিযান এবং ‘সাফল্যে’র উদাহরণ নেই বললেই চলে।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত বুলকান প্রদেশে এই অভিযান চালায় পুলিশ। শহরের রাস্তা থেকে অলি-গলি— ব্যাপক ধরপাকড় চলে। ড্রাগ পাচারে জড়িত সন্দেহে শতাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকও। এই অভিযানের কথা স্বীকার করে বুধবারই প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে বলেন, ‘‘বুলকান প্রদেশে পুলিশি অভিযানে ৩২ জন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। খবরটা ভালই।’’
তবে দুতের্তে যাই বলুন না কেন তাঁর ড্রাগ-বিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় মানবাধিকার কর্মীদের কপালে ভাঁজ আরও গভীর হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশ্ন উঠছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এ ভাবে পুলিশি অভিযান চালানোর যৌক্তিকতা নিয়েও।
ক্ষমতায় আসার পর গত বছর জুনে প্রেসিডেন্ট দুতের্তে ঘোষণা করেছিলেন ফিলিপিন্সকে মাদক-পাচার মুক্ত করার। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে অন্তত ৬০টি পুলিশ অভিযানে হাজারের বেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার পরে, বিরোধীদের অভিযোগ, অভিযানের নামে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছে দুতের্তে প্রশাসন। আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালতে দুতের্তের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিরোধী দলগুলি। তাঁদের দাবি, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষে লোক খুন করছে দুতের্তের পুলিশ। সন্দেহ হলেই গুলি চালাচ্ছে তারা। নিহতদের দোষী প্রমাণ করতে চুপিসারে পাশে আগ্নেয়াস্ত্র বা মাদক রেখে আসতেও পিছপা হচ্ছে না বাহিনী।’’
এ হেন নালিশে অবশ্য একটুও না দমে প্রেসিডেন্ট পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘‘পাচারকারীদের হাত থেকে ফিলিপিন্সকে বাঁচাতে জেলে যেতেও রাজি আছি। প্রয়োজনে রোজ ৩২ জন দুষ্কৃতীকে খতম করতে হবে। তাতে যদি দেশে অপরাধের সংখ্যা খানিকটা কমানো যায়!’’