সৌদি আরবে আটক একাধিক প্রিন্স এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা



সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে আটক হয়েছেন একাধিক প্রিন্স, রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আল জাজিরা।
আটককৃতদের পরিবার-পরিজন জানিয়েছেন, কোনো সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়াই তাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে পরিবার এবং আইনজীবীদের যোগাযোগ করতেও দেওয়া হচ্ছে না তেমন। কাউকে উচ্চ-নিরাপত্তার কারাগারে রাখা হয়েছে, এমনকি খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি সৌদির প্রভাবশালী এক ব্যাংকিং গ্রুপ, মাহফুজ পরিবারের তিনজন বিলিয়নিয়ারকে এভাবে আটক করা হয়েছে।
সৌদি সরকারের মুখপাত্র এ বিষয়ে মুখ খোলেননি বটে। কিন্তু সৌদি রাজতন্ত্রের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, কয়েকজন কয়েদিকে দুর্নীতির চেয়েও বড় দায়ে আটক করা হয়েছে, যেমন জাতীয় নিরাপত্তা এবং ‘সন্ত্রাস’।
২০১৭ সালের নভেম্বরে এক ডিক্রির মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু হয় সৌদি আরবজুড়ে। এতে আটককৃত অনেককেই সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার পরেও তাদের ওপর বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমনকি অনেকের পায়ে বিশেষ মনিটর আটকানো হয়েছে, যাতে তারা নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে না যেতে পারেন।
জানুয়ারিতে সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল-মোজেব জানান, দুর্নীতিবিরোধী সমঝোতায় একশ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে দেশটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নব্য ক্রাউন প্রিন্স, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে এমন ধরপাকড়ের আয়োজন করেছেন। ছাড়া পাওয়ার পর অনেকেই তার অনুসারী হয়ে পড়েছেন, এমনকি এক ব্যবসায়ী সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে প্রবেশ করেছেন।
ওয়াল স্ট্রি জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, এখনো কারাবন্দী রয়েছেন সৌদি-ইথিওপিয়ান বিলিয়নিয়ার মোহাম্মদ আল-আমুদি, নির্মাতা গ্রুপ সৌদি বিন-লাদেনের চেয়ারম্যান বাকর বিন-লাদেন, সৌদি আরবের ইনভেস্টমেন্ট এজেন্সির সাবেক প্রধান আমর আল-দাবাগ এবং এক সাবেক অর্থমন্ত্রী আদেল ফাকিহ।