জনগণের জন্য খুলে গেল সাদ্দামের প্রাসাদ



বিবিসি:: ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত নেতা সাদ্দাম হোসেন তার ২৪ বছর ব্যাপী শাসনামলে ৭০টিরও বেশি প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন।
সেই প্রাসাদগুলোর একটি বসরায়। প্রাসাদটি এখন যাদুঘরে পরিণত করা হয়েছ এবং খুলে দেয়া হয়েছে জনসাধারণের জন্য।
ইরাকের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক বহু প্রত্ন-সামগ্রী রাখা হয়েছে এই প্রাসাদে।
সাদ্দামের প্রাসাদকে যাদুঘরে রূপান্তরের ধারণাটি প্রথম আসে বসরায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং যাদুঘর প্রকল্পের পরিচালক কাহ্তান আল-ওবেইদের কাছ থেকে।
এরপর সেখানে যে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় তার দায়িত্ব দেয়া হয় ২৭-বছর বয়সী মেহ্দি আলুসাভির হাতে।
তিন বছর ধরে তিনি প্রাসাদটির ধোয়ামোছা, মেরামত এবং চুনকামের কাজে তদারকি করেন।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যখন বসরায় মোতায়েন ছিল তখন এই প্রাসাদটিকে তার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
ইরাকে বিদ্রোহী দলগুলো ভবনটি লক্ষ্য করে বহুবার হামলা চালানোর ফলে প্রাসাদটির মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
”এই কাজের দায়িত্ব নেয়ার জন্য আমাকে যখন বলা হলো তখন আমার মনে বেশ দ্বিধা ছিল। কারণ বহু নিরপরাধ মানুষের রক্ত লেগে আছে এই প্রাসাদে,” বলছিলেন মি. আলুসাভি।
”কিন্তু যেদিন প্রাসাদটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো সেদিন আমি আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম।”