ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি থাকবে না– জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল হাবিব
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ -এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব বলেছেন, একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদেশের মানুষ কাঙ্ক্ষিত মুক্তি পায়নি, নব্বুইয়ে আবারো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে হলো। পুনরায় চব্বিশে নব্য স্বৈরাচারদের আন্দোলন করে সরানোর পরও কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পায়নি। তাই আমরা চাই এমন একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে যা বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি থাকবে না। ইসলামী যুব আন্দোলনের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে গত শুক্রবার বাদ আছর বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে টিএ রোডস্থ জেলা কার্যালয় চত্বরে যুব জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। পরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। রেলগেট হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। মাথায় সুদৃশ্য ক্যাপ, হাতপাখা আঁকা পতাকা হাতে নিয়ে বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে র্যালিতে অংশগ্রহণকারীগণ বিভিন্ন স্রোগান দেন। এতে শহর প্রকম্পিত হয়। জুলাই চেতনার বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গড়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ। জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আল আমিন হোসাইনীর সঞ্চালনায় সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করীম। বক্তব্য রাখেন যুব আন্দোলনের সাবেক জেলা সভাপতি মুফতি আশরাফুল ইসলাম বিলাল, আইএবির জেলা ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইউনুছ আহমদ ছাতিয়ানী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আল এহসান। যুব জমায়েতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আনোয়ার হোসেন শওকতী, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা যুগ্ম সাধারণ সাধারণ এম আবু হানিফ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিজয়নগর সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, নবীনগর সভাপতি মুনির হোসাইন, সদর সভাপতি হুমায়ূন কবির, কসবা সভাপতি ওয়ায়েছ আবেদীন জালালী, সরাইল উত্তর সভাপতি শামসোদ্দোহা মিন্নাত আলী, নাছিরনগর সভাপতি হাবিবুল্লাহ ফারুকী, সরাইল দক্ষিণ সভাপতি মোঃ রাসেল মিয়া, আখাউড়া উপজেলা সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন অবিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভাপতি মাহমুদুল হাসান ফারুকী ও আশুগঞ্জ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আবরারুল হক চৌধুরী ও বাঞ্ছারামপুর অর্থ সম্পাদক আব্দুল হালিম সরকার প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেউ যদি ভোট ডাকাতির চেষ্টা করে তাহলে যুব আন্দোলন সেই হাত ভেঙে দেবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা গাজী নিয়াজুল করীম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছে একটি চেতনা নিয়ে, এই দেশ থেকে বৈষম্য দূর হবে। সুন্দরভাবে দেশ পরিচালিত হবে। এখনো সেই বৈষম্য দেখা যায়। একটি দল ক্ষমতার ঘ্রাণে পাগল হয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে গেছে।































