Main Menu

বিজয় মাল্যর অট্টালিকায় ৫ দিন ছিলেন ‘কিং’ গেইল!

+100%-

Gayle2_Insta-580x385রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ফ্রাঞ্চাইজিতে যোগ দেওয়ার পর একবার দলের কর্ণধার তথা লিকার ব্যারন বিজয় মাল্যর প্রাসাদোপম কিংফিশার ভিলায় পাক্কা পাঁচদিন থাকার সুযোগ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের।

সম্প্রতি, আত্মজীবনী ‘সিক্স মেশিন: আই ডোন্ট লাইক ক্রিকেট..আই লাভ ইট’ বইতে সেই অভিজ্ঞতাই লিখেছেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। গেইল জানান, আরসিবি-র হয়ে খেলার সময়ই দলের ম্যানেজার অবিনাশের থেকে তিনি মাল্যর অট্টালিকার কথা শোনেন।

কাকতালীয়ভাবে, একবার টুর্নামেন্টের ফাঁকে একটা পাঁচদিনের ছুটি পান তিনি। তাঁর মনে হয়, একবার দলের মালিকের ওই ভিলা দেখে আসবেন। গেইল জানান, তিনি ইচ্ছুক থাকলেও, দলের অন্য কোনও ক্রিকেটার যেতে রাজি হলেন না।

অগত্যা, গেইল মনস্থির করেন তিনি একাই যাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সোজা বিমান ধরে গোয়া। বিমানবন্দরে তাঁর জন্য গাড়ি অপেক্ষা করে ছিল। তাতে চেপে গেইল সোজা পৌঁছে যান কান্ডোলিমে অবস্থিত কিংফিশার ভিলায়।

বইতে গেইল লিখেছেন, প্রথমবার ভিলাকে দর্শন করে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এতো হোটেলের থেকেও বড়। হোটেলের থেকেও ঠান্ডা। বিস্তারিত জানাতে গিয়ে গেইল বলেন, বাড়িটি সাদা কনক্রিট আর কাচে মোড়া। আমি চেষ্টা করছিলাম, হাঁ করে না তাকাতে। কিন্তু, এত কিছু ছিল তাকানোর মত যে…

গেইল জানান, সেইসময় ওই ভিলাতে মালিক ছিলেন না। তাই (মাল্যর নির্দেশানুসারে) ওই পাঁচদিনের জন্য ভিলার মালিক তিনিই হয়ে গিয়েছিলেন। ক্রিকেটার বলেন, আমি একেবারে একা ছিলাম। ঠিক রাজার মতো। যখনই হাঁটতাম, আমার সঙ্গে দুজন করে পরিচারক সঙ্গ দিত।

প্রথম (সুইমিং) পুলে গেলাম, তারপর আরেকটা পুলে গেলাম। লনে হাঁটলাম। পুলের সেখানে বসতেই আমার সামনে হাজির হতে থাকল একের পর এক ‘মাছরাঙা’। নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে গেইল জানান, এই মাছরাঙার ডানা নেই। এ মাছরাঙা তরল আকারে বোতলবন্দি! তিনি বলেন, এই একটা জায়গা যেখানে এই তরলের যোগান শেষ হবে না।

এরপর গল্ফ কার্ট নিয়ে অট্টালিকার মধ্যে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ান। গেইল লিখেছেন, রাঁধুনি এসে তাঁর কাছে জানতে চান, কী খাবেন? গেইল উল্টে জানতে চান, আজকের মেনুতে কী কী আছে? তখন রাঁধুনি তাঁকে বলেন, মেনু বলে কিছুই নেই। আপনিই মেনু! (অর্থাৎ যা খেতে চাইবেন, তাই পাবেন)।

গেইল বলেছেন, এই কথা শুনে তিনি অবাক হয়ে যান। তাঁর মনে হতে থাকে, এটা একেবারে নতুন দুনিয়া। আর তিনি এই দুনিয়ার রাজা। গেইল লিখেছেন, তিনি ফিরে যান তাঁর শৈশবে। যখন তাঁর কপালে কোনও কোনও দিন দুধ ও বানরুটিও জুটত না। কিন্তু, ভিলায় তিনি সেটা চাইলে, সেটাই তাঁর সামনে হাজির করা হত।

গেইল লিখেছেন, মাল্যর প্রাইভেট থিয়েটার, বাড়ির গ্যারাজ নজরকাড়া। বিশেষ করে গ্যারাজ। সেখানে বিভিন্ন মডেলের দেশী-বিদেশি গাড়ি। গেইলের ভাষায়, একটা মার্সিডিজ এত বড়, যা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি, ওটা ঠিক কী! তবে, ক্রিকেটার বলেন, আমার যার ওপর নজরে আটকে গিয়েছিল, তা হল একটি হার্লে ডেভিডসন-এর তিনচাকার মোটরসাইকেল।

শোনা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একবার একটি রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে এক ব্যক্তিকে এই মোটরসাইকেল চালাতে দেখেন মাল্য। তাঁর সঙ্গে ওখানেই রফা করে মোটরসাইকেলটি কিনে নেন লিকার ব্যারন। ব্যস!

বাইকের ওপর চেপে বসে পড়েন গেইন। বুক-খোলা জামা, চোখে সানগ্লাস, হেলমেটের বালাই নেই। প্রাসাদের মধ্যেই রেসিং ট্র্যাক। সেখানেই বেরিয়ে পড়েন ‘টার্মিনেটর’ গেইল।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares