Main Menu

ভারতকে বিদ্যুৎ ট্রানজিট দেবে বাংলাদেশ

+100%-

ভারত থেকে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে আরও প্রায় ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেতে পারে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা-সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তম সভায় এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় এ সভা হয়।

সভায় ভেড়ামারা-বহরমপুরের মতো আরও একটি গ্রিড আন্তসংযোগ লাইন স্থাপনের জন্য গঠিত যৌথ কারিগরি দলের প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্টিয়ারিং কমিটির দুই নেতা—বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-সচিব মনোয়ার ইসলাম ও ভারতের বিদ্যুৎ-সচিব পি কে সিনহা এসব কথা জানান। এ সময় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মনোয়ার ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের বিষয়ে স্টিয়ারিং কমিটি নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। দুই দেশের সহযোগিতা অনেক দূর বিস্তৃত হবে।

ভারতের বিদ্যুৎ-সচিব বলেন, বিদ্যমান ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিড সংযোগের মাধ্যমে শিগগিরই বাংলাদেশ আরও ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেতে পারে। এটা তারা ভারতের খোলাবাজার থেকে কিনতে পারে কিংবা বিদ্যমান চুক্তির আওতায়ও নিতে পারে, যেটা বাংলাদেশ সুবিধাজনক মনে করে। তিনি বলেন, ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিড সংযোগের উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়িয়ে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ ভারতের বাজার থেকে পেতে পারে। আর ত্রিপুরার পলাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এই বছরের মধ্যে পেতে পারে আরও ১০০ মেগাওয়াট। ওই এলাকায় কোনো গ্রিড সংযোগ না থাকায় কীভাবে এই বিদ্যুৎ আনা-নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়, তা নির্ধারণের জন্য একটি কারিগরি দল গঠন করা হয়েছে।

নতুন আরেকটি গ্রিড আন্তসংযোগ কারিগরি দলের প্রতিবেদন সম্পর্কে পি কে সিনহা বলেন, স্টিয়ারিং কমিটি প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছে। ওই গ্রিড লাইনের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ছয় হাজার মেগাওয়াট সঞ্চালন করা সম্ভব হবে।

এই বিদ্যুৎ ভারতের কয়েকটি এলাকায় যেমন সরবরাহ হবে, তেমনি বাংলাদেশও এর একাংশ ব্যবহার করতে পারবে।
যৌথ কারিগরি দলের প্রতিবেদনে আন্তদেশীয় দুটি গ্রিড আন্তসংযোগ লাইন স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এর একটি ভারত-নেপাল সীমান্তের রাঙ্গিয়ারাওতা-বাংলাদেশের দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া-পূর্ব ভারতের সুবিধাজনক কোনো স্থান; অন্যটি ভারতের বিহারের পূর্ণিয়া-বাংলাদেশের বড়পুকুরিয়া ও ভারত-নেপাল সীমান্তের বনগাইগাঁওয়ের মধ্যে স্থাপনের সুপারিশ করেছে কারিগরি দল।

দুই দেশের বিদ্যুৎ-সচিবদের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে ভারতের বিদ্যুৎ-সচিব গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থানটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করার জন্য প্রস্তুত আছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।






Shares