Main Menu

ইলিয়াস সর্বশেষ ফোন করেন সিলেটের এক সাংবাদিককে

+100%-

সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর মোবাইল বন্ধ হওয়ার আগে তার অবস্থান বাংলা মটর, ইস্কাটন ও রূপসী বাংলা হোটেল (শেরাটন) এলাকায় ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব আরো জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সিলেটের এক সাংবাদিকের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল তার।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানীর বাড়ি থেকে দুজন ব্যক্তির সঙ্গে ইলিয়াস আলীর গাড়িতে ওঠার তথ্য পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাদের নাম-ধাম কিছুই জানতে পারেনি র‌্যাব।
বুধবার প্রথম প্রহরে (রাত দেড়টার দিকে) মহাখালীর আমতলী সংলগ্ন একটি গলিতে ইলিয়াস আলীর গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে পাওয়া যায়নি ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসারকে।

তদন্তের সঙ্গে যুক্ত র‌্যাবের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এক মিডিয়াকে বলেন, রাত ১২টা ২ মিনিটে সিলেটের ওই সাংবাদিকের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর সর্বশেষ কথা হয়। তখন ইলিয়াস আলীর মোবাইলের অবস্থান ছিল ইস্কাটন এলাকায়।

“র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কিছু লেখালেখি করা যায় কি না তা নিয়ে তাদের কথা হয়েছে বলে ওই সাংবাদিক র‌্যাবকে জানিয়েছেন,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।

এছাড়াও ওই রাতে রূপসী বাংলা হোটেলে ইলিয়াস আলী গিয়েছিলেন এবং এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখাও করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে র‌্যাব। র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা ছাড়াও সিলেট বা ঢাকায় রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব এর মধ্যে ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাংবাদিকের আগে চালক আনসারের সঙ্গে মোবাইলে ইলিয়াসের কথা হয় বলে জানতে পেরেছে র‌্যাব। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, রাত দেড়টার দিকে আমতলীর গলিতে দরজা খোলা অবস্থায় ইলিয়াস আলীর গাড়িটি পড়ে ছিল। ইলিয়াসের বাড়ি ওই স্থানের কাছেই। গাড়িতে চালক আনসারের মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। এটি যে ইলিয়াসের গাড়ি, ওই মোবাইল থেকে কল করেই পুলিশ তা নিশ্চিত হয়।

ইলিয়াস আলীর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শফিকুর রহমান ও পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজনকে সঙ্গী করে প্রাইভেটকারটি নিয়ে বের হন বিএনপি নেতা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন আনসার। এই দুজন কারা ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি বলে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে সরকার ‘গুম’ করেছে বলে বিএনপির অভিযোগ। স্বামীর সন্ধান চেয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে রিট আবেদনেও তা বলেছেন ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরাসরি বলেছেন, “র‌্যাবের লোকেরা তাকে ধরে নিয়েছে।”

তবে র‌্যাব ও পুলিশ জানিয়েছে, ইলিয়াস আলী তাদের হেফাজতে নেই। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশেই ইলিয়াস আলী লুকিয়ে আছেন।






Shares