নবীনগরে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি, ৮ ঘণ্টা পর নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তিতাস নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাহাবী (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর থেকে ছেড়ে গিয়ে মোহল্লা ঘাটের নিকটে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের একটি ডুবুরি দল নবীনগর এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহত শিশুটির মরদেহ ৮ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। নিহত শিশু নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন মোহল্লা গ্রামের সাদ্দাম মিয়ার ছেলে।
নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত শিশুটির চাচা ইসমাইল মিয়া বলেন, দাদা হারুন মিয়া, ভাতিজা সাহাবী ও দুইজন যাত্রী নিয়ে কৃষ্ণনগর নৌকা ঘাট থেকে তিতাস নদী দিয়ে মোহল্লা যাবার পথে পিছন থেকে আসা বালু ভর্তি একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে সাথে সাথেই নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। দাদা সহ অন্যান্যরা সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও শিশু সাহাবী নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে নিখোঁজের উদ্ধারে অভিযান চালায়। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নদীতে ডুবে যাওয়া নৌকাটি খোঁজে পায়। পরে অন্য একটি নৌকার সাহায্যে ডুবন্ত নৌকাটিকে পাড়ে তুলে আনলে নৌকার বিতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সলিমগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিতাস নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকা ডুবির ঘটনা নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক বাল্কহেড আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।