ধর্মীয় প্রতারণা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের দ্বিমুখী বিতর্কে জাতীয় পার্টির নেতা মৃধা

মিঠু সূত্রধর পলাশ : নবীনগর পৌর এলাকার নারাণপুরে আধ্যাত্মিক সাধক মরহুম ছাওয়াল শাহের খেলাফতের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ নিয়ে সম্প্রতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাওয়াল শাহের ছেলে জহিরুল আলম মিঠু।
অভিযোগে জানাযায়, ছাওয়াল শাহ জীবদ্দশায় কাউকে খেলাফত দিয়ে যাননি। অথচ মোসলেহ উদ্দিন মৃধা নিজেকে খেলাফতপ্রাপ্ত দাবি করে পোস্টার-ব্যানার ছাপান। প্রতিবছর ৬ জানুয়ারি ওরসের নামে ভক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করছেন।
ছাওয়াল শাহের ছেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা কারও হাতে খেলাফত দেননি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে গদিনিশিন। মৃধা ভুয়া দাবির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
খেলাফতের ভুয়া দাবির পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও উঠেছে বড় প্রশ্ন । উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছামছুল আলম শাহন বলেন,মোসলেহ উদ্দিন আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে গেজেট প্রকাশের সময় অনৈতিকভাবে তার নাম ঢুকিয়ে তিনি বছরের পর বছর সরকারি ভাতা সহ সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অপমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোসলেহ উদ্দিন মৃধা দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র। আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, প্রমাণ আমার কাছে আছে।
আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজীব চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে, প্রমাণ মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।































