Main Menu

নবীনগরে সরকারি রাস্তা দখল করে দোকান নির্মান

+100%-

নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে প্রকাশ্যে দিবালোকে একটি সরকারি রাস্তা দখল করে মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে অথচ প্রশাসনের দৃষ্টি পরছে না সেখানে। ওই ইউনিয়নে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নবীনগর বাঞ্ছারামপুর নতুন সড়কে পাশে পুরাতন রাস্তাটি দখল করে মার্কেট নির্মান করছেন এলাকার প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলী আহম্মদ।

সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল মোজার বিএস ২৬৭ দাগে রাস্তার দক্ষিণ পাশে দখলকৃত রাস্তা দিয়ে জয়কালিপুর, জয়নগর, ইমামনগর, আগানগরসহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাথে নবীনগর উপজেলা সাধারণ জনগনের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল। এই রাস্তাটি স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে সরকারি অনুদানে তৈরী হয়, প্রথমে মাটি রাস্তা, পরে ইটের সলিং, পরে বেশ কয়েকবার কার্পেটিং করা হয়। গতকাল শনিবার (২৫/০৫) সরজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী আলী আহম্মদ মিয়া পুরাতন রাস্তাটি দখল করে স্থায়ী পাকা ভবন তুলে টিনের চাল দিয়ে মার্কেট তৈরী করেছে শুধু তাই নয় নবীনগর টু বাঞ্ছারামপুরের নতুন রাস্তার পয়স্তর পর্যন্ত দখল করে সেখানেও দোকান নির্মান করছে। আরো দেখা যায়, রাস্তার পাশে বনবিভাগের একটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

এলাকার মানুষ দখলের বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে জানালেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। ওই রাস্তাটি দখল হয়ে যাওয়ায় রাস্তার পাশে ব্যাবসায়ীদের সমস্যা ও রাস্তার পাশে কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলের ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মার্কেট উচ্ছেদ করে জনস্বার্থে জায়গাটি উন্মুক্ত রাখার দাবী জানায় এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলী আহম্মদ বলেন, এটা যদি সরকারি রাস্তা হয়ে থাকে সরকার কাগজ দেখাক, এটা আমার ক্রয়কৃত ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এ ব্যাপারে বাজারের ব্যবসায়ী অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি-এর সদস্য শুক্কুর মাহমুদ বলেন, একটি সরকারি রাস্তা এভাবে দখল করা হচ্ছে কিন্ত প্রশাসন দেখছে না। এ রাস্তার পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ী আমরা এই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীসহ রাস্তার পাশের কযেকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের মারাত্তক ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
এ ব্যাপারে জয়কালিপুর গ্রামের মোস্তাক আহম্মদ বলেন, এই দীর্ঘদিন ধরে সরকারি রাস্তা হিসাবে আমরা ব্যবহার করে আসছি,এটা কিভাবে দখল হলো প্রশাসনই বা কি করছে বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এটি এলজিইডি’র রাস্তা, আমাদের কিছু করনীয় নেই ।
এ ব্যাপারে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, আলী আহম্মদ যে কাজটুকু করেছে সেটা ঠিক করে নাই এতে জনস্বার্থ ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথেও কথা বলব।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন এটি আমাদের রাস্তা, দখলের বিষয়টি জানি না দেখতে হবে।






Shares