বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘চার বছর বয়সী আইনস্টাইন’
ওয়েব ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের বাংলাদেশি শিক্ষক রাশিদুল বারীর ছোট ছেলে আইজাক মাত্র চার বছর বয়সেই দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নজর কেড়েছেন। এত অল্প বয়সেই গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের ওপর অসাধারণ দখলের কারণে ইতোমধ্যেই ‘চার বছর বয়সী আইনস্টাইন’ খেতাব পেয়েছে আইজাক। তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে আমেরিকায় অধ্যাপনারত বাংলাদেশেরই আরেকজন অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিকার আইজাক আসিমভের নামানুসারে ছেলের নাম রাখার প্রস্তাব দেন রাশিদুল বারীকে। তার পরামর্শে রাশিদুল বারী ছেলের নাম রাখেন আইজাক।
চার বছর বয়সী আইজাকের প্রতিভা অমেরিকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। দেশটির খ্যাতনামা অধ্যাপকরা আইজাকের প্রতিভার প্রশংসা করেছেন এবং তাকে ‘ভবিষ্যত বিশ্বের জন্য বড় সম্পদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হাফিংটন পোস্ট, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসসহ অনেক সংবাদমাধ্যমেই আইজাককে নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। রাশিদুল বারী জানিয়েছেন, আমেরিকার একটি জনপ্রিয় টেলিভিশনে কয়েকদিনের মধ্যেই আইজাককে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।
আইজাককে নিয়ে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসে লেখা নিবন্ধে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান লিখেছেন, ‘আমি যখন রাশিদুল বারীর কাছে তার ছেলের কথা শুনছিলাম, তখন বারবার স্যার আইজাক নিউটনের কথা মনে পড়ছিল। আমি এখন নিউটনের যুগে বাস করছি। তার সূত্র ব্যবহার করে বিজ্ঞান অনেকদূর এগিয়েছে। ক্যালকুলাসসহ গণিতের উৎকর্ষে নিউটনের অনেক ভূমিকা আছে। আমার শুধু মনে হচ্ছিল পৃথিবী আরেকজন নিউটনকে পেতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আজকের ছোট্ট আইজাক এক সময় নিউটনের সমকক্ষ হবে কিংবা তাকেও ছাপিয়ে যাবে।’
আইজাকের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের (সিসিএনওয়াই) পেসিডেন্ট ড. লিসা এস. কইকো। মুগ্ধ লিসা বলেন, ‘আমার ধারণা সে (আইজাক) পরবর্তী স্যার আইজাক নিউটন এবং সে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিষ্কার করতে পারবে।’
তবে রাশিদুল বারীকে ছেলের নাম কেন আইজাক রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আইজাক আসিমভের নামের প্রথম অংশ থেকে আমি তার নামটি প্রস্তাব করেছিলাম। তখন কেউ একজন বলল, এটা তো ইহুদি নাম। কিন্তু আমি তাকে বললাম হিব্রুতে যাকে ‘আইজাক’ বলা হয়, আরবিতে তাকে বলা হয় ‘ইশাক’। কোরআন-হাদিসেও এ নামটি আছে। আমি মনে করি আমাদের ছোট্ট আইজাক খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। কারণ তার নামটি খ্রিস্টান ও ইসলাম উভয় ধর্মগ্রন্থেই আছে’।
সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের অধিভুক্ত কলেজ সিইউএনওয়াই লেহম্যান কলেজের প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো ফার্নান্দেজ আইজাক সম্পর্কে বলেন, ‘চার বছর বয়সী এ শিশু একসময় আইজাক নিউটনের মতো বড় কিছু হবে।’
রাশিদুল বারীর বড় ছেলে আলবার্টও তার প্রতিভাধর। ১৩ বছর বয়সেই সে স্যাট (Scholastic Aptitude Test) এক্সপার্ট হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। হাফিংটন পোস্টে রাশিদুল বারীর লেখা এক নিবন্ধে তার ছেলেদের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের সুনাম বাড়বে বলে বারবার দাবি করা হয়েছে।
আইজাকের ইন্টারভিউ নিচ্ছেন সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক-এর প্রেসিডেন্ট লিসা কইকো