সাকিবের উপর চটেছেন বিসিবি সভাপতি
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২৮৪ রান, ৭১.০০ গড়টাও অসাধারণ। সঙ্গে ছ’টি উইকেট। নিউজিল্যান্ড সফরে এমন অল রাউন্ড পারফর্মেন্সে টেস্ট অল রাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ে সেরা রেটিং পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁ হাতি স্পিন অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মঙ্গলবার প্রকাশিত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে অশ্বিনের পিছনে থাকা সাকিব আল হাসানের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩এ। টেস্টে শুধু অল রাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ে নয়, বোলিং এবং ব্যাটিংয়েও এক ধাপ করে উপরে উঠে এসেছেন। আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ বোলিংয়ে ১৪তম, ব্যাটিংয়ে সেখানে ২২ নম্বরে অবস্থান করছেন সাকিব।
তবে ওয়েলিংটন টেস্টে কেরিয়ারের সেরা ২১৭ রানের ইনিংস কিংবা ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে র্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট বাড়িয়ে নিয়েও পাচ্ছেন না বাহাবা। দু’টি টেস্টেই সাকিবের খারাপ আউট দলের বিপদ ডেকে এনেছে। ওয়েলিংটন টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে কোনও রান না করে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে রানের পাহাড়ের টার্গেট দিয়েও (৫৯৫/৮ডি.) বাংলাদেশ হেরেছে সাত উইকেটে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ রানে অল আউট হওয়ায় হয়ে যেতে হয়েছে। স্বপ্ন দেখানো ম্যাচ এ ভাবে হেরে যাওয়ায় সাকিবের উপর মহা বিরক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি)। ওয়েলিংটন টেস্টে প্রথম ইনিংসে আশানুরুপ
স্কোরে (২৮৯) সাকিবের ৫৯ রানের ইনিংস প্রশংসিত হলেও মাত্র ৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দেখে-শুনে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন সাকিব। তাতেই বিসিবি-এর তোপের মুখে পড়েছেন সাকিব। তার উপর ভীষন চটেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। মঙ্গলবার মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবকে এক হাত নিয়েছেন বিসিবি বস,‘‘টেস্টে ওই ইনিংসে ২০০ না করে যদি ১৫০ রান করত, পরের ইনিংসে অবশিস্ট ৫০ তার ব্যাট থেকে আসত, তা হলে আমরা হারতাম না। রান কম করে উইকেটে যদি সময়টা বেশি কাটাতে পারত তা হলে কিন্তু আমার দলের জন্য লাভ হত। প্রথম ইনিংসে ৬০০-এর কাছাকাছি স্কোর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫০ স্কোর করতে পারব না, এটা ভাবাই তো বোকামি?’’
শুধু সাকিব একা নন, অন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের উপরও বিরক্ত তিনি, ‘‘এটা শুধু একজন, দু’জন খেলোয়াড় নয়, বেশিরভাগ সিনিয়র প্লেয়ারদের মধ্যেই এই সমস্যা ছিল। ওরা যেভাবে খেলেছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অনেকের হয়ত খেলার স্টাইলই এই রকম। তারা হয়ত বলবে এভাবেই খেলে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু এই ধরনটা টেস্টের জন্য সহায়ক নয়। দলের গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড় যখন ইনজুরিতে, তখন আরও ধরে খেলা উচিত ছিল।’’