Main Menu

যাওয়ার সময় দিয়ে যাব !!!

+100%-

“কোন সমস্যা নেই, আমি বদলি হয়ে যাবার সময় সই দিয়ে সব পাওনা (ফি) পরিশোধ করব” সরকারি ডাকবাংলো ব্যবহার করে নির্ধারিত সময়ে বিল না দেয়ার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল আলিম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে দায়িত্বে যোগদানের পর হতে মাসের পর মাস নির্ধারিত ফি পরিশোধ ছাড়াই কাউতুলিস্থ জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে অবস্থান করছেন জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও সচিব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোরডটকম এর কাছে এমন অভিযোগ আসার পর অনুসন্ধানে জানা যায়, পূর্বের প্রকৌশলী এখনও ছাড়েননি অফিসারদের জন্য বরাদ্দকৃত শহরের মৌড়াইল এলাকায় অবস্থিত ডাকবাংলো। এ সুযোগে তারা নিয়মিত সরকারী ডাকবাংলোতে অবস্থান করছেন কিন্তু রহস্যজনক কারণে রেজিষ্ট্রি খাতায় বিধি মোতাবেক প্রতিদিনকার উপস্থিতি সই বা স্বাক্ষর করছেন না।
এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল আলিম বলেন, কোন সমস্যা নেই, আমি বদলি হয়ে যাবার সময় সই দিয়ে সব পাওনা (ফি) পরিশোধ করব। যখন জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি তো উপস্থিতি সই ই (প্রমাণ) রাখছেন না জেলা পরিষদের পাওনা দেবেন কিসের ভিত্তিতে, তখন তিনি কোন জবাব দেয়া থেকে বিরত রইলেন। একই বিষয়ে সচিবের নিকট জানতে চাইলে জেলা পরিষদ সচিব মোহাম্মদ আলিম আখতার খান বলেন, আমি সব সময় থাকিনা মাঝে মাঝে এবং টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু রেজিষ্ট্রি খাতায় কেন উপস্থিতি সই করেন না এই প্রশ্নের কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল আলিম । সচিব মোহাম্মদ আলিম আখতার খান কোন মাসে একটি তারিখে আবার কোন মাসে চারটি তারিখে রেজিষ্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর দিলেও মাসের বাকী দিন  গুলো তিনি কোথায় থাকেন এর কোন সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি। উলে¬খিত ডাক বাংলোর আয় জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় তহবিলে যুক্ত হয়।
যদিও বিধি মোতাবেক, একজন কমকর্তা বদলির পর ৬ মাস পর্যন্ত পূর্বের কর্মস্থলে বরাদ্দকৃত সরকারি আবাসন ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় নতুন কর্মকর্তাকে সরকারি খরচে বাসা ভাড়া করে থাকার কথা । ভাড়ার খরচ মোট বেতনের ৩০% হারে প্রদান করে সরকার।






Shares