Main Menu

তুচ্ছ ঘটনা :: সরাইলে সংর্ঘষে ওসিসহ আহত অর্ধশতাধিক ,আসামী আড়াই শতাধিক

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ সরাইলের শাহবাজপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে  হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টার ও অধিক সময় বন্ধ ছিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানচলাচল। গুলিবিদ্ধ হয়েছে একাধিক লোক। আহত হয়েছে ওসি সহ আট পুলিশ সদস্য।
গত শনিবার রাতে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে মহাসড়কের প্রথম গেইট এলাকায় উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্ধাদের মধ্যে ভয়াবহ এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে খরচ করতে হয়েছে ৫২ রাউন্ড রাবার বুলেট। পুলিশ ওই গ্রামের দুই শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে তিন জন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশ উভয়ই শাহবাজপুর গ্রাম। দক্ষিণ পাশের বাসিন্ধা সালেক মিয়ার বাড়িতে কাজ করেছিল উত্তর পাশের মন মিয়ার ছেলে হাকিম মিয়া (২২)। কাজের টাকা লেনদেন নিয়ে সালেকের সাথে হাকিমের বাক-বিতন্ডা হয়। এ সময় সালেকের ভাইপো বাবুল হাকিমকে মারতে যায়। ঘটনাটি জানতে আসেন সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শাহেদ মিয়া। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহেদ মেম্বারকে ঘুষি দেয় সালেকের গোষ্ঠীর হযরত আলী (৩২)। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মূহুর্তের মধ্যে দুই পাড়ার দুই সহ¯্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দেড় ঘন্টা চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। রাতের অন্ধকারে এ সংঘর্ষ চলাকালে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় মহাসড়কের দুই পাশে তিন কিলোমিটারের ও অধিক এলাকায় যানজট লেগে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। দূর দূরান্তের যাত্রী ও পথচারিরা চরম দূর্ভোগে পড়েন।
সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।   দেড় ঘন্টা স্থায়ী এ সংঘর্ষে সরাইল থানার ওসি, এস আই, কন্সটেবল সহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতরা পুলিশি গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য স্থানীয় ফার্মেসি বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে আবার অনেকে অন্য জেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত বাবুল (৩৫) কে ঢাকায়, শাহ জুয়েল (২৩) ও সজিব (৩০) কে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আরশাদ, উপ-পরিদর্শক মোঃ বোরহান, আমির হোসেন, রবিউল আলম, সানিমুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ও নায়েক ২২৫ মোঃ কামরুল। এস আই বোরহান বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২’শ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মাহফুজ (৩০), আবদুস সাত্তার (৩২) ও দেলোয়ার (২৫) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আরশাদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে।






Shares