Main Menu

হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

+100%-

ডেস্ক ২৪:: :ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে সোমবার দুপুরে চিকিৎসা নিতে আসা নাজমা বেগম নামে গাইনী বিভাগের এক রোগী দালালের খপ্পরে পড়ে শহরের মুন্সেফপাড়ায় অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে অপচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা হাসপাতাল ঘেরাও করে। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জানা গেছে, জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী সকালে নিজ বাড়ীতেই সন্তান প্রসব করেন। এর পর তার অবস্থা গুরুত্বর হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে সিএনজি অটোরিক্সায় করে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দালালরা রোগীর সজনদের এখানে ভাল চিকিৎসা হয় না বলে, ভাল চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে শহরের মুন্সেফপাড়ায় অবস্থিত হলিক্রিসেন্ট নামক একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ঐ সময় কোন ডাক্তার না থাকায় রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান বাহাদুর হোসেন ও তার স্ত্রী (প্রাক্তন নার্স) নার্গীস বেগম নিজেই। এরপর ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে রোগীর সজনরা রক্ত নিয়ে এসে দেখেন রোগী মারা গেছে। এসময় রোগীর সজনদের আর্তচিৎকারে এলাবাসী উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে ভির জমায়। খবর পেয়ে হাজির হন সাংবাদিক ও সদর থানার পুলিশ। হাসপাতালে প্রবেশ করে কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স ছাড়া কোন ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ হাসপাতালে নিয়মিত কোন ডাক্তার থাকেন না। এছাড়া কয়েকদিন পরপর এখানে অপচিকিৎসায় রোগী মারা যায়। সম্প্রতি হাসপাতালটিতে জেলা প্রশাসন তালা ঝুলিয়ে দিলেও অজ্ঞাত ভাবেই আবার চালু হয় এটি। হাসপাতালের চেয়ারম্যান বাহাদুর হোসেন এ রোগীকে নিজেই চিকিৎসা দেয়ার কথা স্বিকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ডাক্তারকে কল করেছি কিন্তু ডাক্তার আসার আগেই রোগী মারা গেছে। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ডাক্তার ছাড়া হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা  করা অন্যায়। তবে দু’পক্ষই হাসপাতালে মিমাংসা করেতে আলোচনায় বসেছে। তবে কেউ মামলা দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেব। এ বিষয়ে সিভল সার্জন হাসিনা আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার কিছুই জানিনা। না জেনে কিছু বলতে পারব না। এদিকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার বৈঠক চলছিল।






Shares