Main Menu

সরাইলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার-১

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ ,সরাইল প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত রোববার পুলিশের সাথে যুবদল ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে ২’শ ও বুধবারে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববারের ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ পর্যন্ত মোঃ আলম (২৪) নামের এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য সহ আহত হয় ত্রিশজন। ওইদিন রাতেই এএসআই ইসমাঈল বাদী হয়ে ত্রিশ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৭০ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যুবদল ছাত্রদলের পাশাপাশি এ মামলায় আসামী করা হয়েছে উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাষ্টার ও সাবেক সম্পাদক মোঃ আনিছুল ইসলাম ঠাকুরকে। এ ছাড়া যুবদল ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকদের করা হয়েছে আসামী। গত বুধবারে দায়ের করা মামলার ১৬ আসামীর সকল সহ নতুন আরো ১৪ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে রোববারের মামলায়। মামলায় বলা হয়, আসামীরা পরস্পরের যোগসাজশে সংঘবদ্ধ হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান করেছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্যেশ্যে তারা ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়েছে। পুলিশকে হত্যার উদ্যেশ্যে ইট পাটকেল ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে আধা ঘন্টা। এর আগে গত বুধবার এস আই আবদুল আলীম বাদী হয়ে যুবদল ছাত্রদলের ১৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন। মামলায় অভিযোগ ছিল, মিছিল করতে করতে অবরোধকারীরা সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে শিকাক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করে। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের জানালার কাঁচ ভাংচুর করে। তাদেরকে বাঁধা দিতে এসে আহত হয় চার পুলিশ সদস্য। এই মামলাটিকে মিথ্যা বানোয়াট উল্লেখ করে যুবদল ছাত্রদলের নেতারা মামলা প্রত্যাহারের জন্য গত বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয়। নইলে রোববার (গত) গোটা সরাইলে আধাবেলা হরতালের ডাক দেয়। মামলা প্রত্যাহার না করায় আধা বেলার হরতাল চলাকালেই পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ এক সময় রণক্ষেত্রে রুপ নেয়। আহত হয় ছয় পুলিশ সদস্য সহ ত্রিশজন। সাবেক সম্পাদক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, আমি বর্তমান সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার। সহিংসতা ও ধ্বংসাত্বক কাজ বিএনপি কখনো বিশ্বাস করে না। ইনশা আল্লাহ আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও কর্মসূচির মাধ্যমে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব। সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাষ্টার বলেন, রোববার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত শিক্ষার্থীদের সাথে থেকে পূঁজায় সহযোগিতা করেছি। আমাকে রাজনৈতিক হীন উদ্যেশ্যে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে রোববারের মামলায় আসামী করা হয়েছে। প্রসঙ্গত: সম্প্রতি জেলা শহরে পুলিশের সাথে বিএনপি’র সংঘর্ষের ঘটনায় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট আবদুর রহমানকে বিস্ফোরক আইনে মামলায় আসামী করেছে পুলিশ। এর পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি।

– সঞ্জয়






Shares