Main Menu

সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামী হলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট আবদুর রহমান। গত ৫ জানুয়ারী গনতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষ্যে জেলা শহরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংঘটনের নেতা কর্মীদের। ইট পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটায়। আহত হয় অনেক পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারী পুলিশ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ জানুয়ারী পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংঘটনের নেতা কর্মীরা সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয়। নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে এক সময় পিকেটারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। তারা লাঠি সোটা ইট পাটকেল ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য প্রকাশ্যে বহন করতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তারা পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান করে। এক সময় সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে ইট পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। প্রকাশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করে জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় অনেক পুলিশ সদস্য ও পথচারী আহত হয়। ৬ জানুয়ারী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (দ্বিতীয় কর্মকর্তা) মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। জেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে প্রধান আসামী করে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় ১৩ নাম্বার আসামী করা হয় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট আবদুর রহমানকে। জেলা বিএনপি’র সদ্য বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, এ মামলায় আমাকে আসামী করায় আশ্চর্য্য হয়েছি। কারন ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি সরাইলে ছিলাম। আমি অফিসিয়াল অনেক কাজও করেছি। এটা সম্পূর্ণ উদ্যেশ্য প্রণোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। জেলার অনেক সরকার দলীয় নেতাও আমাকে আসামী করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।






Shares